পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/১৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ওই বোহিন কুকুরটার কাজ। না হলে ছেলেদের কাছে এমন আজগুবি গল্প আর কে করতে পারে ? কিছু ভয় নেই; সব ঠিক আছে। এর জন্যে আবার রোজ ডেকে খরচ করতে হবে না, যাও। খাতাঞ্চিমশাই বললেন বটে, সব ঠিক আছে যাও, কিন্তু পুতু সে কথা মানবে কেন ? সে ঠিক আবার একদিন এসে উপস্থিত! সকাল বেলা সোনার মা ঘর ঝাট দেবার সময় তক্তার নিচে দেখলেন, একটি শিরতোলা কতকালের শুকনো হিজুলি পাতা। ছেলেরা যখন শুতে গেল, তার আগেই সোনার মা ঘর ঝোঁটিয়েছেন। সেখানে একটি কুটে পর্যন্ত ছিল না, আর রাতের মধ্যে হিজুলি পাতা কোন দেশ থেকে উড়ে এল ? হিজুলি গাছ তো গ্রামে একটিও ছিল না, রাজার বাড়িতেও নয়, কোম্পানির বাগানেও নয়। সোনার মা হিজুলি পাতাটি হাতে নিয়ে বললেন, ‘এটা কোথা থেকে এল রে, সোনা ? সোনা অমনি বলে উঠল, ‘পুতু ফেলে গেছে।’ ‘বলিস কী সোনা ? • ‘হঁ্য মা, সে ওই ফেঁপের পাতার জামা পরেই তো আসে। আর আমায় বলে, “দেখেছিস কেমন লেসের কাপড়। কালও সে এসেছিল আর তক্তার পায়ার কাছটিতে বাশি বাজাচ্ছিল, তুমি শোনোনি ? সোনার মা অবাক হয়ে বললেন, “কই আমি তো শুনিনি ৷” সোনা বললে, তবে তুমি ঘুমিয়ে পড়েছিলে। আমি শুনেছি। আমি জানি ও পুতুর জামার পাতা খসে পড়েছে। সোনার মা বললেন, ‘তা কখনো হয় ? সদর দরজা বন্ধ, সে আসবে কেমন করে ঘরের মধ্যে ? সোনা বললে, ‘কেন ? পায়ের কাছের জানলা দিয়ে যে সে আসে, আমি দেখেছি ? সোনার মা বললেন, ‘একতলার উপরে জানলা, এখানে উঠরে কেমন করে সে ? “কিন্তু ঠিক জানলার ধারেই তো পাতাটি পরে ছিল মা । জানল। দিয়ে সে যদি না আসে তবে পাতাটি ওখানে পড়ল কেন ? પ્રસં8