পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/১৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সে সেটা মুখে করে এনে সোনার মাকে দিল। সোনার মা দেখেই বুঝলেন এটি পুতুর লুকোনো সিন্দুকের সবুজ খাতা, কিন্তু পুতু সেটা কেন যে পকেটে-পকেটে রাখে তা তিনি বুঝতে পারলেন না। রোদ বিষ্টি পেয়ে খাতার সবুজ মলাট জল-পাতার মতো সোনালি হয়ে এসেছে। সোনা, আঙটি পাণ্ডটি অকাতরে ঘুমোচ্ছে দেখে, সে নার মা বোহিমকে ঘর থেকে বার করে দিয়ে চুপি-চুপি উল্টে-পাণ্টে দেখতে লাগলেন, সেই চমৎকার জীবনবৃত্তান্ত । বইখানার প্রথম পরিচ্ছেদ –যেখানে পুতুর বাপ মা কে, কবে তার জন্ম, কোন পাড়ার কোন বাড়িতে, কোন দিন কত ঘণ্টা কত মিনিটে, কোন তিথিতে কোন বারে, কোন লগ্নে, কোন বংশে, কোন কুলে, কোন সনে, কোন মাসে, কোন তারিখে, এমনি সব বিশেষ দরকারি কথা লেখা, সেটা সমস্ত ছিড়ে কোথায় উড়ে গেছে তার ঠিক নেই। হয়তো বোহিম কুকুর বইটা নিয়ে খেলা করবার সময় সেটুকু চিবিয়ে খেয়ে ফেলেছে, নয়তো পুতু নিজেই কোনো সময় পাতাগুলো কেটে, নেীকো নয় তো আর কিছু বানিয়ে, খেলা করে নষ্ট করেছে। কার বই, কে লিখেছে, মূল্য কত, সূচীপত্র, উপহার কিছুই নেই। একেবারে দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ থেকে আরম্ভ। ঠিক যেন দুধে দাত ছুটি দেখিয়ে আধো-আধো কথায় কে বলছে, ‘পুতুর বই—দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ ’ ১২৭