পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/১৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাত ছটোর পরেও যদি কোনোদিন জেগে থাকতে পার, তবে বুঝবে আমার কথা সত্যি কিনা। তখন যেমনি, শেয়ালদার দিকে একপাল শেয়াল হুয়া-হুয়া বলে ডাক দিলে, সব আমনি বাগান আর বন হয়ে গেল, একটিও আর ইট থাকল না। পুতু তার বাঁশি বাজাতে শুরু করলে আর সব পরীরা জোনাক-পিদিম জালিয়ে একে-একে বেরিয়ে, বিশ্বাস হল না বুঝি ? ভাবছ ইট কাঠ পাথর কখনো গাছ হতে পারে ? এই তো ? যেও দেখি যাদুঘরে, দেখবে গাছ পাথর হয়ে গেছে, পাথর হয়ে গেছে গাছ । আকাশের তারা তো দেখ, যেন আলোর ফুলকি ! একটা তারা সেদিন মাটিতে খসে পড়েছিল, যাদুঘরে র্কাচের বাক্সয় সেটা বন্ধ আছে, একেবারেই আগুনের ফুলের মতো নয়, শুধু একতাল চকচকে লোহা । দেখবে, যে শিকলিতে তারাটা আকাশে ঝাড়ের মতো ঝোলানো ছিল, এখনো সেটা তেমনিই আছে। যাদুঘরে রাত্তিরে যদি ঢুকতে দিত তবে হয়তো অনেক আশ্চর্য ব্যাপার দেখতে পাওয়া যেত । দিনের বেলা ঘরবাড়ি-চাপা পড়ে, তাই বলে বাগান যে থাকে না মনে কর না । আমাদের ওই গোল বাগানের ওধারে যে ফুটরল খেলার জমি দেখছ, ওর তলায় একটা মস্ত পুকুর আর বটগাছ আছে, ছেলেবেলায় আমরা সেই বটতলায় বসে পুকুরে মাছ ধরেছি। এখনো এক-একদিন আমি সে বটগাছ আর পুকুরটা পষ্ট দেখতে পাই । পুকুরটা নিশ্চয়ই আছে, না হলে ওই বকটা ওখা ঘুরবে কেন ? বক কখনো গরুর মতো ঘাস খেয়ে বঁাচে না, নিশ্চয়ই রাতের বেলায় যখন পুকুরটা বেরিয়ে আসে মাটির নিচে থেকে, তখন বকটা সেখানে মাছ ধরে-ধরে বেড়ায়, তাই এতদিন বেঁচে আছে । এইবার পুতুর বইখানিতে হালিশহরের পুরনো ছবি-দেওয়া ম্যাপখানার দিকে চেয়ে দেখ। শহর কোথায় ? সবই বাগান, পুকুর, ঘাট মাঠ। আর পশ্চিমে দেখ বড়োগঙ্গার ধারে তিনটে বড়ে বড়ো ঘাট ; মাঝে বাবুঘাট, দক্ষিণে কয়লাঘাট, উ রে জগন্নাথঘাট। বাবুঘাটে শৌখিন বাবুদের বজরা, কুটির বাবুদের পানসি, ছেলেবাবুদের >૨જે

  • [, Sーお