পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/১৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাক বললেন, ‘মনটা কী রকমটা করছে শুনি ? আমি যেমনি উত্তর দিয়েছি, ‘মন ভারি খারাপ হয়েছে। আমনি দাড়কাগ তাড়াতাড়ি, কই দেখি দেখি বলে, আমার কপালে হাত দিয়ে বললেন, ‘ইস ভারি গরম ! দেখি হাতটা ।” আমার হাতের কড়ে আঙুলটা একবার ঠোটে করে তুলতে চেষ্টা করে কাক বললেন, মন ভারি কী বলছ ? তোমার যে আঙুল মৃদ্ধ ভয়ানক ভারি হয়ে গেছে।’ আমার ভয় হল। কেঁদে বললুম, কী হবে তবে ? কাক বললেন, ‘মন ভারি হয়ে গেলে কি কেউ উড়তে পারে ? মন হালকা রাখা চাই বাতাসের মতো। পাখিদের মন কখনো ভারি হয় না। যে পাখিটার দেখবে ডানা দুটো ভারি হয়ে ঝুলে পড়ল সে পাখিটা মোল আর তার ওড়ারও শেষ হল জানবে।’ আমি দেখলুম যতই আমার ভয় বাড়ছে, ততই যেন হাত-পা অবশ হয়ে যাচ্ছে। একবার উড়তে চেষ্টা করলুম, কিন্তু পাছটাে যেমনি মাটি ছাড়া অমনি আমার মাথাটা গিয়ে মাটিতে পড়ল কুম করে । কাক বললেন, ‘মিছে চেষ্টা । আর তোমার ওড়া হচ্ছে না, পড়াই তোমার কপালে আছে দেখছি। ভারি লোক হয়েছ, পায়া ভারি হবে না এখন । না বসন্তের দখিন বাতাস, না শীতের উত্তর বাতাস, ন সকালের আলো-গোলা পুব হাওয়া, না কোনো বাতাসেই আর তোমাকে ওড়াতে পারছে । মহা ঝড় এলেও নয়। বড়ো গোল। তোমাকে গোলদিঘির জম্ব দ্বীপেই চিরকাল কালোজামের বাগানে থাকতে হবে। পালাবার জো নেই।’ আমার কান্না পেল। আমি শুধোলুম, ‘শ্বেতদ্বীপে, যেখানে পাউডার মেখে পরীরা থাকে, আর ওই রাজাবাগান, ওই হাতিবাগান, আলিপুর, যাদুঘর, সিংহীবাগান, এসব দেখতে যেতে পাব না ? উত্তর হল, ‘না।’ f ‘ছাতুবাবুর মাঠে চড়ক, গড়ের মাঠে গোরার বাছি, রাম ృలty