পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/১৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাগজটার মাঝে বড়ো করে ৫ লেখা রয়েছে। শুনেই কাক চটে বলে উঠলেন, কী কাকের ছা বকের ছা লিখেছে, দরখাস্ত নামঞ্জুর' বলে তিনি কাগজখানা ঠোটে করে আমার দিকে ছড়ে ফেলে দিয়ে বললেন, যাও, খেলা করগে।’ পাখিরা জানত না, তাই ভারি কাজের জিনিসকে বাজে বলে তারা ফুেলে দিয়েছে। নোটখানা সামান্য কাগজ নয়, থোক পাঁচ টাকা, শুনে পাখিরা অবিশুি সেট। ফিরে চাইলে না। পাখির জানত, দিয়ে নিলে তাদের কালিঘাটের কুকুর হতে হবে। সবাই চুপ করে রইল, কাকমশায়ের দিকে কটমট করে চেয়ে । কাকমশায় নিজেকে ভারি বুদ্ধিমান ঠাওরাতেন, এবার ঠকেছেন দেখে কাজকর্ম ছেড়ে জামগাছের আগডালে গোমড়া মুখে বসে রইলেন। ককমশায়কে খুশি করবার জন্তে আমি তার বাসায় গিয়ে শুনলুম, তিনি তার দিঘির ধারে বাগানবাড়িতে গেছেন, দু-চার দিন আর কাচারি করবেন না । কাকবুড়ো শেষবয়সে একটু আরাম আর আমোদ-আহলাদে কাটাবেন মনে করে আশথগাছের আগডালে ছেড়া মোজার একটি বগলি নানা টুকিটাকি দিয়ে ভর্তি করে, বুড়ে। বয়সের জন্তে কিছু জমা করে রাখছিলেন । আমি যখন সেখানে উপস্থিত হলুম, তখন কাকমশায় তার ছেড়া মোজার ভাড়ারঘর গোছাচ্ছেন। দেখলুম সেখানে তিনি জমা করেছে . একশোআশিট মটর, কিসমিস বাদাম পেস্তা চৌত্রিশটি, ষোলো টুকরো পাউরুটির খোল, একটা ফাউনটেন পেন, আর একটা জুতোর ফিতে। কাক আমাকে দেখে বললেন, ‘এই মোজাটা ভতি করে দিয়েই পেন্সন নেব, কী বল দাদা ’ প্রায় বারো আনা মোজা ভর্তি হয়েছে দেখে, আমি তাকে আমার নোটের একধার থেকে তার চার আনা দিলুম। মোজা ষোলো আন ভর্তি দেখে তার আর হাসি ধরে না । এই সময় আমি সুযোগ বুঝে তাকে ওপারে যাবার একটা উপায় ঠাওরাতে বলে নিজের বাসায় ফিরে এলুম। তার পরদিনই পাখিদের সভায় বাবুইপাখির ডাক পড়ল। এত S86t घ. مهاجساس این