পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/১৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাখি। সব ছেলেমেয়েগুলে। খাচা আনতে ছুটল, আমি সেই ফঁাকে আবার নেীকে খুলে একেবারে লালদিঘিতে এসে শ্বেতদ্বীপে নেমে পড়লুম। বলছি সেখানে সব পরী’ তার পর থাকে, আমার ও কেউ নয়, তোমার ও কেউ নয়। আমাকে দেখে পদ সব তলোয়ার খুলে তাড়া কবে এল। কী যে বিড়বিড় করে বললে, তা বুঝলুম না।" তামি হঁ। কবে দেখালুম খিদে পেয়েছে, তাব। ভাবলে তাদের ভেঙাচ্ছি, তাতে আবে লেগে গেল। তখন একজন বললে, “দেখছ ন। কচি ছেলে, ঢল ওকে বানীর কাছে নিয়ে যাক্ট, তিনি ওকে গৰীব ছেলেদেব ইস্কুলে দিয়ে হয়তো মানুষ করে তুলবেন । ইস্কুল কেমন দেখিনি কিন্তু আবাব মানুষ হতে হবে শুনে ভয় হল। আমি পলাব ক্লিন ভাবছি, এমন সময় দলে-দলে পরীর সঙ্গে পরীদের রানী লালদিঘিতে জল না খেয়ে হাওয়! খেতে নামলেন উড়তে-উড়তে । সে কী চমৎকার, যদি দেখতে । কিন্তু মানুষের তখন লালদিঘিতে আসবাব হুকুম নেই, ফটক বন্ধ। পরীরা আমায় তাদের করে কোলে নিয়ে নাচাতে-নাচাতে রানীর সামনে হাজিল কবলে । পবীরানী আমার মাথায় হাত বলিন্য বললেন, তোমাব নাম কী? আমি বললুম, পুতু। বানী শুধোলেন, “তুমি কী কর ? আমি উত্তর করলুম, খাই দাই, বাঁশি বজাই।’ রানী বললেন, ‘তুমি যদি ডাক্তারি জানতে, তবে আমি তোমাকে মস্ত একটা কেতাব দিতুম ? ‘কেতাব কী জানা ছিল না, আমার লোভ হল। আমি বললুম, কী অমুখ জানলে বলতে পারি সারাতে পারব কিনা। আমি জম্বুদ্বীপে জামের রস খাইয়ে অনেক পাখিকে বাচিয়ে দিয়েছি। পররানী ইশারা করলেন, অমনি পরদেশের সরকারি গোবছি খাতির করে খুব খানিক মিষ্টি কথা বলতে লাগলেন। আমি খানিক >8ぬ