পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/১৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উড়ে-যাত্রা ‘পুতুর বইখানি শেষ করে সোনার মা দেরীজে সেটি যত্ন করে রাখলেন। যদি কোনোদিম পুতু চায় তো ফিরিয়ে দিতে হবে। বইখানি পড়ে পুতুর উপর সোনার মা'র একটু মায়া হল । র্তার মনে হল পুতু যেন ঐ বুড়ে সোনাতোন হয়ে, সোনা হয়ে, আঙটি পাণ্ডটি হয়ে, তাকে মা বলে ডাকছে। বিকেলবেলার সোনারোদ জানলার ধারে এসে পড়েছে, মনে হল যেন পুতুর জন্তে একখানি র্কাথা কে পেতে রেখেছে। গাছের তলায় ঘাসের উপরে ছাওয়ার মধ্যে চাকা-চাকা রোদ, যেন পুতু সোনা-পায়ে হেঁটে গেছে, তারই ছাপ পড়েছে। বাতাসে আতাগাছের পাতাগুলি মনে হচ্ছে যেন পুতুকে নিয়ে দোলা দিচ্ছে। , সোনার মা সেই সোনার-রোদে-মাখা বিকেলবেলায় আবার যেন নিজের ছেলেবেলার মধ্যে গিয়ে পড়লেন। দূরে নদীর ধারে একট। নেীকে যেন শিব সদাগরের বাণিজ্যে যাবার জন্যে ঘাটে ভিড়েছে, জোয়ার এলেই ছাড়বে। - নদীর জল তাই যেন আস্তে-আস্তে কাদার উপর দিয়ে ছুপ-ছুপ করে নেীকোর দিকে এগিয়ে আসছে। নদী নেীকোকে ডাকছে, ‘চলে এস চলে এস ’ নেীকে ডাকছে জলকে, ‘কাছে এস কাছে এস ’ যেন বাইরে থেকে বাপের বাড়ি সোনার মাকে আজ ডাকছে, সরল পথে তরল গাছের হাতছানি দিয়ে, ‘এস এস, আর বলছে, ‘হিম জল হিম থল হিম শীতল পাটি, তোমার জন্যে বিছিয়ে বসে আছি, কখন তোমার হিম বুকের ছাতি এসে লাগবে বাপের বাড়ির লোকের বুকে আর একটিবার । ঠিক এই সময় খাতাঞ্চিমশায় ডাকলেন, 'অগো শুনে যাও। সোনার মা এক হাতে কাসার রেকাবিতে আকের কুচি, এক 〉?や