পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/১৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নিয়ে যখন যাত্রাবাড়িতে উপস্থিত হলেন, তখন ঢোলে চাটি পড়েছে, সোনার মাকে আর খবর পাঠানোর সময় হল না। খাতাঞ্চি কোমর বেঁধে যাত্রাওয়ালাদের গ্রীনক্লমের তদবির করতে গেলেন। খাতাঞ্চি চলে যাবার পরেই সন্ধেবেলার যেটুকু আলে। ঘরের মধ্যে ছিল, আস্তে-আস্তে জানলা গলে সেটুকু বেরিয়ে যেতে আরম্ভ করল। দিনটা যেন দু-একবার হাই তুলে চোখ বুজলে। সঙ্গে-সঙ্গে আঙুটি পাণ্ডটি আঙুল চুষতে চুষতে ঘুমিয়ে পড়ল। সোনা অন্ধকারে রাজ্যের জিনিস দেখতে পেত, অনেক ছেলেমেয়েই পায়। আঙটি অন্ধকার হলেই দেখত কে যেন দুটাে চোখ বের করে জলের কুঁজোটার পাশ থেকে একটা লম্ব হতে বাড়িয়ে তার পায়ে সুড়সুড়ি দিচ্ছে আর একহাতে তার পা এমন চেপে ধরেছে যে আঙটি আর টেনে নিতে পারছে না। পাণ্ডটি দেখে, মস্ত পেট নিয়ে মোটা কলসীটা আর লম্বা গলা নিয়ে জলের কুজোট। জলচৌকি, চুপাশে বসে সি বের কোটো, চুমকি ঘটি, ছোটো শিশি, মলমের বাটি, জিনতানের ডিবে, তাম্বুলিনের চোঙ, দেশলাইয়ের বাক্স, স্বতোর রিল, এমনি সব টুকিটাকি নিয়ে দাব। খেলতে বসে গেছে। কিন্তু আজ আঙটি পাণ্ডটি দুজনেই ঘুমিয়ে পড়েছে, কেবল সোনা জেগে-জেগে যাত্রা শুনছে । খোল বললে প্রথমে, “থাক থাক সিন সিন, ঢোল অমনি বলে উঠল, সাজ সাজ সাজ যুগল যুগল । বায়া তবলা অমনি বলে উঠল, ‘চুনকালিতে চুনে হলুদে, গোফ ফেলে দে মৃদং অমনি বলে উঠল, ‘দাড়ি দেখা যাক, ক্ষতি নাই থাক, নথ পরানো নথ পবানো, মন্দিরে বুলি ধরলে, ”টিকিট কাটি, টিকিট কাটি, না হলে মাটি, করতাল বলে উঠল, রয়েছে ফাক রয়েছে ফাক, চুলেতে ঢাক মাথার টাক ’ এইবার ঐকতান বাদন বলতে লাগল, “পালকের বগ দেখানে। বালকের মাথায় টুপি, মোগলের কেষ্ট চুড়ো ছ গালে রোয়ার থুপি । রাধিকের অধিক শোভা গোফের আড়ে ঝুটো মতি, সখিদের মনোলোভা মোজার উপর পাতোধোটি । এইবার কেষ্ট এলেন আমনি \9 כ כ - ס\ .stי