পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/১৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নিয়ে চলে যাও। তেমনি সবুজ তাবুর মতো হিজলী বন পুতুর গিরিনরুম আর আসর, ফুই । পুতু যেখানে খুশি মুড়ে এটাকে নিয়ে গিয়ে যৈখানে খুশি আবার খাটাতে পারে। তিনশো পয়ষট্টি ডাল, এক-এক ডালে একটি শাদা আর একটি লাল লণ্ঠন ফানুসের তারার মতো ঝোলানে, প্রত্যেক ডালে আবার এক হাজার চারশো চল্লিশটা করে র্কাচের কলম, চব্বিশ রঙের রামধনুকের মতো আভা দিচ্ছে । প্রত্যেক যাট ডাল আবার রকম-রকম রঙের সাজে সাজানে, যেন ছয় রঙের থাম দেওয়া ছটা আসর। প্রথমটা পোড়া মাটির লাল দিয়ে আগাগোড়া মোড়, রগ-রগ করছে, আসর সরগরম। তারপর ভিজে মাটির ঠাণ্ড রঙের সপ দিয়ে মোড়া, আসর সপসপ করছে গোলাপ জলের পিচকিরিতে। তারপরের আসর সব নীলের উপরে তারা পদ্মফুল দিয়ে আগাগোড়া মোড়া । এরপর সবুজ আর ধানি রঙের সাজে মোড়া আসর, তারপর কুয়াশা আর বরফের মতে শাদ সাজানো আসর। এরপর বাসস্তি রঙ দিয়ে মোড় ফুল-ফুলে সাজানো আসর। মাঝে পাচরঙা পর্দা, তারই আড়ালে পাচ ডালের থাম দেওয়া পুতুর গিরিনরুম । পোড়ামাটির আসরে বোশেখ জষ্টি, ভিজে মাটির আসরে আষাঢ় শ্রাবণ, পদ্মফুলের আসরে ভাদ্র আশ্বিন, ধানি আসরে কার্তিক অভ্রাণ, শাদা আসরে পোষ মাঘ, হলদে আসরে ফাগুন চৈত, ছমাস করে পুতুর যাত্রা বসে। গ্রীষ্ম বর্ষ। শরৎ হেমন্ত শীত বসন্ত, এই ছমাসে ছয় ঋতুর পাল বা মেলা দেখান পুতু অধিকারী, ষাট-ঘাট থামের ছটা আসরে । তখন শীতকাল, পুতু সোনাকে নিয়ে শীতকালের শাদা আসরের একধারে শুইয়ে দিয়ে বঁশি বাজিয়ে দিলেন, আর একধার থেকে শীতের কনসার্ট বেজে উঠল, ‘হিম সিম হিম সিম ।’ অমনি রোয়ার টুপি তুলোর কাপড় গলাবন্ধ জড়ানো, কান ঢাকা, যেন ভালুকের ছানার মতে, ইচিং বিচিং চাচি মুচি মুমু ননর বেরিয়ে এল শীতের শাদা আসরে জুড়ি-জুড়ি। অমনি শীতের বিবি পোকা চারদিকে مياوئ د