পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/১৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সত্যভামা চোখে আঁচল দিয়ে বললেন, শিবপুজো আর করব না। ফল হাতে হাতে পাচ্ছি ; আর কোনো উপায় থাকে তো বলে ।” -প্রথম সখী বলে উঠল, অন্য সখীকে, কি লে। তুই তো অনেক ব্রত করেছিস, বল না সখী আমাদের কী ব্রত করলে রাজরানী হবেন ? অন্য সখী আমনি গালে হাত দিয়ে বললে, ‘ওমা আমি আবার কবে ব্রত করলাম লো ? ব্রত-ট্ৰত আমি জানিনে। ছেলেবেলায় করেছি এখন কি আর মনে আছে ? ( নারদের প্রবেশ ) এই যে নারদ-ঠাকুর আসছেন, ওঁকে শুধানে যাক। পেন্নাম হই দাদাঠাকুর ' নারদ অমনি আশীৰ্বাদ করে বললেন, ‘বুঝেছি পেন্নামের ঘটা দেখেই বুঝেছি, বর-টর কিছু চাই নাকি ? সখীরা অমনি গালে আঙুল ঠেকিয়ে বলে উঠলে, না ঠাকুর বর চাইনে, আমাদের সখী কোন ব্রত করলে রাজরানী হবেন তাই বলে দিন ? নারদ চোখ বুজে মালা ঘোরাতে-ঘোরাতে বললেন, ‘কলিতে সেঁজুতি ব্রত হচ্ছে সর্বশ্রেষ্ঠ। সত্যভামাকে সেই ব্রত করতে বলো, আমি কর্তার সঙ্গে একবার দেখা করে আসি ৷ সত্যভামা যেমনি নারদকে প্রণাম করলে অমনি নারদ বললেন, মা ! বড়ো ক্ষুধা লেগেছে, আজ তোমার এখানে ফলার করে তবে স্বৰ্গ মর্ত্য পাতাল নিমন্ত্রণ করতে বার হব ? সখীরা অমনি বলে উঠল, 'কার বিয়ে ঠাকুর ? নারদ রুক্মিণী’ বলেই অমনি মাথা চুলকে, তা মা তা আমি তবে এখন আসি ’ বলে তো প্রস্থান করলেন । সত্যভামা মুখ গম্ভীর করে বললেন, “শুনলে সখী আমি এ প্রাণ রাখব না ? সখীরা বললে, সখী সেঁজুতি ব্রতের সব গুছিয়ে দিয়েছি, ঐস এই বেড়ির উপর ফুল ধরে বলে, বেড়িবেড়ি সতীনের দাতে মারি মুড়ি। সত্যভামা আসরের এক ধারে ব্রত করতে বসলেন। ১৭২