ওধারে সুর্পনখা খর দূষণ দুই ভাই নিয়ে উপস্থিত হয়ে নাকি মুরে আরম্ভ করলে, “আমার নাক কেটে সে স্বর্ণসীতাকে নিয়ে অযোধ্যায় যারে, সুর্পনখা বেঁচে থাকতে তা হবে না।’ খর দূষণ বলে উঠল, "দিদি তোমার নাকট নাকি সে কেটে নিয়ে কুমিরকে খাইয়েছে শুনতে পাচ্ছি ? সুর্পনখা রেগে উত্তর করলে, ‘সে কথায় আর কাজ নেই, নাকের । মাংস খেয়ে কুমিরটার লোভ বেড়েছে, সেই থেকে সে রোজ আরো মাংসের চেষ্টায় টিকটিক করে ফিরছে আমার সঙ্গে দিনরাত ? খর দূষণ বললে, ‘দিদি ওই শোনো একটা যেন টিকটিক শব্দ পাচ্ছি।’ সুর্পনখা বললে, ‘চলো চলো পালাই তবে, স্বর্ণসীত কেমন করে হরণ করব ভালা এক কুমির সঙ্গে লেগেছে, তিষ্ঠতে দেবে না দেখছি ' স্থপনখা চলে গেল খর দূষণকে নিয়ে। সখীরা বলে উঠল, “শুনলে সখী বাঘের শত্রু সাপে খাবে, ভাবনা নেই।’ সত্যভামা জবাব দিলেন, "সহচরী, তোমাদের ত্রতের ফল ফলেছে । চলে এখন নারদ মুনিকে খাইয়ে-দাইয়ে তুষ্ট করি গে।’ এইবার তৃতীয় দৃশ্ব ; যুদ্ধেব বাজন। বাজছে ; নিশ চর নিশাচরীদের নাচতে-নাচতে প্রবেশ ; পক্ক ধক্ক তঙ্ক তঙ্ক অগ্নিচন্দ্র ভালিকে, অট অট্ট ঘট ঘট ঘোব হাস্য হাসিকে । দূরে দেখা গেল সুর্পনখা স্বর্ণসীত হরণ করে পালাচ্ছে অমনি হনুমান, বিভীষণ, পুতু, ইচিং বিচিং সবাই ধনুক আস্ফালন করতেকরতে আসরে নামলেন, মার-মার ফের-ফের হিন্দি-ভিন্ধি-ভাষিকে, এহি-এহি দেহি-দেহি গৰ্ব-খৰ্বকারিকে, সিংহভাব ফেরু-বার ফেব্রুপাল পালিকে । লড়াই চলল। ঢঙ্ক ঢঙ্ক হক্ক হক্ক চক্ক চক্ক ভক ভক । • পুতু ধনুক আস্ফালন করে বললেন, ‘তিষ্ট-তিষ্ট রে ছষ্টগণ, এখনি উচিতমতো শাস্তি দিচ্ছি। এই ব্রহ্মাস্ত্র জুঢ়লেম আর তুই কোথায় পলায়ন করবি ? ১৭৩