পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/১৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নোটো তাতির সেই কালো-কোলো মোটা-সোট্ট মেয়েটিকে সত্যিই সোনাতোন দেশের এক কাঠা ধেনে জমি বিক্রি করে বিয়ে করে এনেছিল কিন্তু ভয়ে খাতাঞ্চিকে কিছু বলতে পারছে না। এমন সময় বোহিম কুকুর রান্নাবাড়ি থেকে নোলা সক-সক করছৈকরতে সোনাতোনের ঘরে এসে উপস্থিত। সোনাতোনের বে। যেমন তাকে দেখা অমনি উমা উমা করে র্কাদতে-কাদতে একেবারে তক্তার . নিচে গিয়ে সেঁধোল । সোনা তার মাকে বেড়াল বৌ এসেছে খবর দিয়ে সোনাতোনের ঘরে এসে দেখলে বেী কোথাও নেই, বোহিম তক্তার সামনে মাটিতে শুয়ে আছে । ‘সোনাতোন, ও সোনাতোন, তোমার বেী পালিয়েছে!’ বলে সোনা আঙটি পাণ্ডটি একেবারে খাতাঞ্চির ঘরে উপস্থিত। এসেই খাতাঞ্চিকে দেখে তিনজনেই থমকে দাড়াল। তারপর সোনা বললে, “বাবা ! তুমি এখানে এলে কেমন করে ' খাতাঞ্চি চশমাট কপালে তুলে বললেন, ‘আমি যেখানকার সেইখানেই আছি, তোরা আকাশ থেকে পড়লি নাকি ? বাস্তবিকই তারা আকাশ থেকে পড়ল । এতক্ষণ তারা ভাবছিল যা কিছু ঘটছে সবই রাতের বেলায় পুতুর গিরিনরুমে হচ্ছে । ম৷ এলেন, সোনাতোন এল, বৌ এল আবার পালাল, এসব কিছুই আশচর্য ঠেকল না কিন্তু ভয়ংকর সত্যি হযে বাবা এসে উপস্থিত হলেন দেখেই তাদের চটকা ভেঙে গেল। তখন তারা ভয় পয়ে বললে, ‘বাবা, সোনাতোনের বেড়াল বে। আবার পালিয়েছে ? খাতাঞ্চি বললেন, ‘পালিয়েছে আপদ গেছে। এবার এলে এই লাঠি দিয়ে তার কোমর ভাঙব না ? সোনাতোনের ভয়ে মুখ শুকিয়ে গেল, সে সোনাকে চুপি-চুপি বললে, চল দিদিমণি বোঁ কোথা গেল দেখি।' সোনাতোন রান্নাবাড়িতে সোনার মাকে এসে শুধোলে, মা আমার বৌ কোথা গেল দেখেছ কি ?” ›ዓግ অ ৩—১২