পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/২০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

-বসাত। ছেলেধরা দিয়ে খুজে খুজে তোমার মতে নিডর তুষ্ট ছেলে তারা ধরে এনে, তাকে ভালো কাপড়, সি জুরের টিপ দিয়ে বলির পাঠা যেমন করে সাজায় তেমনি করে সেই অন্ধকার পাতাল-পুরীতে এক থালা খাবার, এক ভাড় জল দিয়ে, নিজে না খেয়ে, দানধ্যান না করে যে-সব ধন-দৌলত জমা করেছে তারই কাছে বসিয়ে দিয়ে, , একটি পিদিম জালিয়ে তারই নিচে একটা. গোখরো সাপের হাড়ি রেখে বলত—‘এই যকের ধন তুমি আগলে থাক। যে এখানে ঢুকবে, তাকে যেন সাপে খায়। হিং টিং ফট এই মন্তর বলে বুড়ে। গর্তের মুখে একটা মস্ত পাথর চাপা দিয়ে বেরিয়ে আসত। রিদয় বিষম ভয় পেয়ে বলে উঠল –‘তারপর ? তারপর আর কী ? দু’চার দিনে থালার খাবার, ভীড়ের জল ফুরিয়ে গেলে ছেলেট রোগ হয়ে শুকিয়ে-শুকিয়ে মরে যেত! পিদিমটাও তেল ফুরিয়ে নিভে গেলে অন্ধকারে ডাশ-পোকা সব বেরিয়ে তার গায়ের মাংস ছিড়ে খেয়ে ফেলত। সেই সময় গোখরো সাপ ডাশের লোভে হাড়ি ভেঙে বেরিয়ে এসে মরা-ছেলের ফঁাপামাথার খুলিটার মধ্যে বাসা বেঁধে ধন-দৌলত আগলাত। আর ছেলেট যক হয়ে সেই অন্ধকারে খিদের জালায় কেবলি কাদত আর. . .” এই পর্যন্ত শুনেই রিদয়ের এমন ভয় হল যে সে ভাবলে যেন তার চারদিকে অন্ধকারে ডাশ-পোকাগুলো বেরিয়েছে, আর যেন লক্ষ্মীর ব্যাপিটার মধ্যে থেকে গোখরো সাপ ফেঁাসলাচ্ছে । ইছর রিদয়কে ভয় দেখিয়ে বললে—“শুনলে তো ? এখন ছেলেধরা তোমাকে দেখেছে কি ধরে যকে বসিয়েছে ! পালাও এইবেল, মানুষের কাছে আর এগিয়ে না, ধরা পড়লে মুশকিল।’ বলেই ইফুর কুলুঙ্গিতে উঠে বসল। রিদয় কেঁদে বললে—‘আর কি আমি মানুষ হব না ? ইত্বর হেসে বললে—‘গণেশঠাকুরের দয়া না হলে আর মানুষ হওয়া হচ্ছে না।’ సిఫి రి