পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/২৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কোনো বড়ো গাছ আছে কি না । কাছেই একটা সরু ঝাউ-গাছ বন ঠেলে আকাশে সোজ উঠেছে, ঘুরতে-ঘুরতে রিদয় সেই-দিকে এগিয়ে গেল, তারপর হঠাৎ একসময় শেয়ালের ল্যাজ ছেড়ে একেবারে ঝাউগাছটার আগ ডালে উঠে পড়ল। শেয়াল তখনে৷ নিজের ল্যাজ কামড়াতে বেঁ-র্বে লাটিমের মতো ঘুরছে। রিদয় গাছের উপর থেকে চেচিয়ে বললে : তাকুড়-তাকুড় তাকা ! যাচ্ছে শেয়াল ঢাকা । থাকে-থাকে-থাকে হুঙ্কান্থয়া ডাকে { কামড়েছে তার নাকে ! শেয়াল দেখলে শিকার তাকে ঠকিয়ে পালাল ! সে গাছের তলায় ই-করে বসে রিদয়ের দিকে চেয়ে বললে—‘রইলুম এইখানে বসে, কতক্ষণে নেমে আসিস দেখি ! তোকে না খেয়ে নড়ছিনে ? এক-ঘণ্টা গেল, ছু-ঘণ্টা গেল, শেয়াল আর নড়ে না । বাউ-গাছের সরু ডালে পা ঝুলিয়ে শীতের রাতে জেগে বসে থাকা যে কী কষ্ট আজ রিদয় বুঝলে। শীতে তার হাত-পা অসাড় হয়ে গেছে, চোখ ঢুলে পড়ছে, কিন্তু ঘুমোবার যে নেই –পড়ে যাবার ভয়ে। আর বনের মধ্যে অন্ধকারই বা কত । দুহাত তফাতে নজর চলে না— মিশকালে ঘুটঘুটে চারিদিক ! মনে হল যেন গাছপালা সব শীতে কালো পাথরের মতে পাষাণ হয়ে গেছে ! একটি পাখি ডাকছে না, একটি পাতা নড়ছে না—সব নিথর নিঝুম ! রিদয়ের মনে হচ্ছে রাত যেন ফুরোতে চায় না –রিদয় আর না ঘুমিয়ে থাকতে পারে না । এই সময় ভোরের কনকনে বাতাস বইল, আর দেখতে-দেখতে ভুসো-কালির মতে রাতের রঙ ক্রমে ফিকে হতে হতে মিশি থেকে রাঙা, রাঙা থেকে রুপোলি, রুপোলি থেকে ९९¢ च. ७ङ्-se