পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/২৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রিদয় রেগে বলে উঠল –‘কোথায় জানলে কী তোমাদের আনতে বলি ? এই গ্রামের ছুটে ছেলে তাকে নিয়ে এসেছে – এই দিকে ’ এই কথা হচ্ছে, এমন সময় মন্দিরের পিছন দিকে হাসের ডাক শোনা গেল। বেচারা প্রাণপণে চেঁচাচ্ছে। রিদয় দৌড়ে সেদিকে গিয়ে দেখে একটা ঘরের উঠোনে এক বুড়ি খোড়া হাসকে দুই হাঁটুতে চেপে ধরে ডানা কেটে দেবার উদ্যোগ করছে –ছুটে পালক কেটেছে, আর হুটাে মুঠিয়ে ধরে কাটবার চেষ্টায় আছে। হঠাৎ বুড়ো-আংল-রিদয়কে দেখে বুড়ি একেবারে হা হয়ে গেল ! সেই সময়ে যত নেড়ানেড়ির দল ছুটে এসে হৈ-হৈ করে বুড়ির হাত থেকে খোড় হাস ছাড়িয়ে নিলে। রিদয় হাসের উপরে চড়ে বসল আর অমনি রাজহাস তাকে নিয়ে আকাশে মিলিয়ে গেল । বৈরিগীর দল সেই হাসের পালক হংসেশ্বরীর পরমহংস-বাবাজীর কাছে হাজির করে দিলে। তিনি পালক কটি একটি হাড়িতে রেখে খবরের কাগজে বিজ্ঞাপন দিলেন —অভূতপূর্ব ঘটনা ! হংসেশ্বরীর রাজহংস স্বশরীরে বামনকে নিয়ে উপস্থিত হয়ে দুটি পালক রক্ষা করে গেছেন। সে জন্য একটি সোনার কেটার প্রয়োজন। হিন্দুমাত্রেরই এই বিষয়ে মুক্তহস্ত হওয়া উচিত। চাদ আমার কাছে মঃ অঃ করিয়া পাঠাইবেন । ইতি—সুরেশ্বরের পরমহংস বাবাজী ’ মানুষদের মধ্যে যেমন খবরের কাগজ, পাখিদের মধ্যে তেমনি খবর রটাবার জন্য পাখি আছে। কোথাও কিছু নতুন কাণ্ড হলেই সেই জায়গাটার উপরে প্রথমে কাক-চিল জড়ো হয়, তারপর তাদের মুখে এ-পাখি, এ-পাখির মুখে ও-পাখি —এমনি এ-বন, সে-বন, এ-দেশ, সে-দেশে দেখতে-দেখতে খবর রটে যায়। কাঠবেড়ালির কথা আর খোড়া হাস উদ্ধারের কথা রিদয় ফিরে আসার পূর্বে হাসের দলে, বনে-জঙ্গলে, জলে-স্থলে কোনো 는 8