পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/২৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপর দিয়ে যাওয়া, আর কামরূপের পথে গেলে ব্রহ্মপুত্র-নদের হধারে নগরে গ্রামে চরে জিরিয়ে যাওয়া চলে। ক্লিদয় কিন্তু বেঁকে বসল, এত কাছে এসে দাৰ্জিলিঙ যদি দেখা না হলো তো হলো কী ? খোড়া হাসের যদিও পায়ে বাত তবু রিদয়ের কথাতেই সে সায় দিয়ে বসল ! ঠিক সেই সময় শিলিগুড়ি থেকে ছোটো রেল বঁাশি দিয়ে পাহাড়ে উঠতে আরম্ভ করলে, রিদয় আকাশের উপর থেকে দেখলে, যেন শাদা-কালো একটি গুটিপোক। একে-বেঁকে পাহাড়ের গা বেয়ে চলেছে —হাসে চড়া রিদয়ের অভ্যেস, রেল এত টিমে চলছে দেখে ভেবেছিল, গুগলির মতো কত বছরই লাগবে ওটার দাৰ্জিলিঙ পৌছতে ! রিদয় চকাকে শুধোলে, ওটা কতদিনে দার্জিলিঙ পৌছবে ? চকা উত্তর দিলে –‘এই সকাল আটটায় ছাড়ল, বেলা তিনটেচারটেতে পৌছে যাবে ? ‘আর আমরা কতক্ষণে সেখানে যেতে পারি? রিদয় শুধোলে । চক উত্তর করলে –‘যদি রাস্তায় কুয়াশা হিম না পাই, তবে বড়ো জোর এক-ঘণ্টায় ঘুম-লেকে’ গিয়ে নামতে পারি, সেখান থেকে কিছু খেয়ে নিয়ে সিঞ্চল, কালিম্পং, লিবং, সন্দকফু থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখে কার্সিয়ং, টুং-সোনাদা হয়ে আবার ঘুমেতে নেমে একটু জল খেয়ে একচোট ঘুমিয়ে নিয়ে বেলা সাড়ে-এগারটা নাগাদ দাৰ্জিলিঙ-ক্যালকাটা রোডের ধারে আলুবাড়ির গুম্পার কাছটায় তোমায় নামিয়ে দিতে পারি। আমরা তিববতের হাস তার ওদিকে আর আমাদের যাবার যো নেই –গেলেই গোরারা গুলি চালাবে ? এত সহজে দার্জিলিঙ দেখা যাবে জেনে খোড়া হাস পর্যন্ত নেচে উঠল। চকা তখন বললে –‘এতবড়ো দল নিয়ে তো পাহাড়ে চল। দায়, ছোটো রেলের মতো আমাদেরও দল ছোটো করে ফেলা যাক । বড়ো-দলটা নিয়ে আণ্ডামানি কামরূপে হাড়গিলে-চরে গিয়ে অপেক্ষ করুক ; আর আমি, খোড়, হংপাল, কাটচাল, নানকৌড়ি, চলে। দার্জিলিঙ দেখে আসি।” শিলিগুড়ি থেকে হাসের দল দুই ভাগ 는 8