পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/২৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাগলা-বোৱার কাছ-বরাবর এসে একখানা প্রকাগু মেঘ হাসেদের সঙ্গ নিয়ে উত্তর-মুখে উড়ে চলল। কলকাতার এক বাৰু পাহাড়ে রাস্তায় রবারের জুতো রবারের ওয়াটারপ্রফ পরে বিষ্টির ভয়ে নাকে-কানে গলাবন্ধ জড়িয়ে মোট এক চুরুট টানতেটানতে ছাতা খুলে হাফাতে হাফাতে চড়াই ভেঙে তাড়াতাড়ি বাঁড়ি-মুখো হয়েছেন দেখে হাসের রঙ্গ জুড়লে : জল চাও না, চাও কিন্তু খাস পাউরুটি হয় না তো সিটি । জলের ভয়ে তাড়াতাড়ি খুললে কেন ছাতা ! জল না হলে গাছে-গাছে ফলে পেঁপে আতা ? জল না হলে কোথায় পেতে আলু পটোল চা! হত নাকে রবার-গাছ কিসে ঢাকতে পা ? বিষ্টি নইলে ছিষ্টি নষ্ট, সেট মনে রেখ– মেঘ দেখলে নাক তোলে তো উপোস করে থেক ! সকালে পাবে না চ দুপুরেতে ভাত— বিকেলে পাবে না ফল, রাতে জলবে অঁাত না পাবে নদীতে মাছ খেভেতে ফসল— ফোট-ফোট ঝরবে তখন তোমার চোখে জল । বাবু একবার ছাতার মধ্যে থেকে আকাশে চেয়ে দেখলেন, রিদয় টুপ করে তার নাকের উপর একটা শিল ফেলে হাততালি দিতেদিতে হাসের পিঠে উড়ে চলল। মেঘখানা শিল বর্ষাতে-বর্ষাতে হাসের দলের পিছনে-পিছনে আসছে, আর হাসের সারি দিয়ে আগে-আগে যেন মেঘখানাকে টেনে নিয়ে চলেছে –আকাশ দিয়ে পুষ্পকরখের মতো। তিন-দরিয়ার অনেক উপরে দুই পাহাড়ের দেয়াল যেন কেল্লার বুরুজের মতো সোজা আকাশ ঠেলে উঠেছে একেবারে মেঘের কাছে, তারি গায়ে পাগলা-বোরা ঝরনা শাদা $8४”