পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/২৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

‘মাস্টার মহাশয়ের কথায় কি কিতাবগুলো অবিশ্বাস করবে ? বলে খোড়া একটি সমুদ্রের শাখ পাহাড়ের উপর থেকে তুলে নিয়ে রামছাগলকে দেখিয়ে বললে—‘হিমালয় তো এককালে সমুদ্রের গর্ভে ছিল, এই শাখই তার প্রমাণ ? রামছাগল ঘাড় নেড়ে বললে –‘ওকথা আমি বিশ্বাসই করিনে । নিশ্চয় কোনো পাখিতে এনে ওটাকে ফেলেছে।’ খোড়া বললে –‘তা হয় না । সমুদ্রের একেবারে নিচেয় থাকে এই শামুক, পাখি সেখানে যেতে পারে না।’ রামছাগল তর্ক তুললে –‘তবে মাছে খেয়েছে, সেই মাছ মরে ভেসে এসেছে সমুদ্রের ধারে, সেখানে পাখি তাকে খেয়ে শাখটা মুখে নিয়ে হিমালয়ে এনে ফেলেছে ! খোড়া ঘাড় নেড়ে বললে –‘তাও হয় না। সমুদ্রে যেখানে এই শাখ থাকত, সেখানে মাছ কেন, মানুষ পর্যন্ত যেতে পারা শক্ত ? রামছাগল অমনি দাড়ি চুমড়ে বললে—তবে মানুষ জানল কেমন করে এ শাক সমুদ্রের তলাকার, পাহাড়ের উপরকার নয়।’ সুবচনী পাছে তর্কে হেরে যায় রিদয় তাই তাড়াতাড়ি বলে উঠল —‘জানো না, মানুষ ডুবুরি নামিয়ে মুক্তো তোলবার সময় এই সব শাখ কুড়িয়ে এনেছিল বুড়ি-ঝুড়ি ? রামছাগল শিং নেড়ে বললে –‘কুড়ি থেকে তারি গোটাকতক শাখ হয়তো মাটিতে পড়ে গিয়েছিল। হঠাৎ সুবচনী বললেন – ‘তা নয় –সুবচনী আরও কী বলতে যাচ্ছে আমনি ছাগল রেগে বললে –‘তা যদি নয় তো নিশ্চয় আগে শাখের সব ডানা ছিল, উড়ে এসেছে হাসেদের মতো এই পাহাড়ে।’ রিদয় অমনি বলে উঠল —“শাখের যদি ডানা থাকতে পারে তবে পাহাড়গুলোরও ডানা ছিল একথাই বা কেন . বিশ্বাস করবে না ? সুবচনী আমনি বলে উঠল –‘আর প্রজাপতির মাথায় রামছাগলের মুখই বা না হবে কেন, তা বলে ? २१७ "למ-הכי אי