পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/২৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাথরের রঙে এমন এক হয়ে-গেল যে, স্থ-হাত তফাত থেকে চেনা যায় না, হাস কী পাথর। কিন্তু সুবচনীর হাস —তার শাদা রঙ অন্ধকারেও ঢাকা গেল না, সে রিদয়কে বুকের কাছে নিয়ে বললে --"দেখ ভাই এবার তোমার হাতে মরণ-র্বাচন । রিদয় নিজের টেক থেকে নরুনের মতো পাতলা ছুরিটি বার করে বললে –দেখছ তো আমার অন্তর।’ হাস বললে –‘অস্তরে ভালো করে শান দিয়ে রাখ ভাই ।” ঠিক সেই সময় উপর থেকে একবার ডাক এল –‘ইয়াহু ? তারপরেই ঝপাং করে জলে পড়ে ডালকুত্তা হাসের দিকে সাংরে আসছে দেখা গেল। শেয়ালটা ঝোপের আড়াল থেকে চেচিয়ে উঠল –‘ছয়া-হুয়া হত্যা হুয়া ! শেয়াল দেখলে, কুত্তা জল থেকে একটা বাক-নখওয়ালা লাল থাবা শাদা হাসটির দিকে বাড়িয়ে দিলে। হাসটা কখন র্ক্যেক করে ওঠে শেয়াল ভাবছে ঠিক সে সময় ডালকুত্তা উয়াছঃ’ বলে ডিগবাজি খেয়ে জলে পড়ে হাবুডুবু খেতে-খেতে হাচড়ে-পাচড়ে ওপারে উঠল, আর ডানা ঝটপট করে হাসের দল অন্ধকার দিয়ে একদিকে উড়ে পালাল । শেয়ালের ইচ্ছে হাসের পিছনে তাড়া করে চলে, কিন্তু ব্যাপারটা হল কী সেটা জানতে তার লোভ হচ্ছে, সে ওপর থেকে ডালকুত্তাকে ডাক দিয়ে শুধোলে ‘ক্যায়াহুয়া কোয়া-হুয়া ? রিদয়ের নরুনের ঘায়ে তখন ডালকুত্তা অস্থির । সে বেগে বললে –‘চোপরাও যাও-যাও !’ শেয়াল বললে –‘কী দাদা হাত ফসকে গেল নাকি ? কুত্তা গা ঝাড় দিয়ে বললে –শাদা হাসটাকে টেনে নিয়েছিলুম আর কী, কী জানি সেই সময় টিকটিকির মতো একটা কী জানোয়ার হাতে এমম দাত বসিয়ে দিলে যে, চোখে আমি সরষেফুল দেখলুম। কুত্তা তার থাবা চাটতে বসে গেল। শেয়াল ‘হাঃ-গিয়া হাঃ-গিয়া’ বলে কঁদিতে-কাদতে হাসেদের こbre