পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/২৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

—'অঞ্জলি করিয়া জল না করিহ পান, সমস্ত। পুরণ করি করে। জল পান —নতুবা তোমার মৃত্যু ’ সমস্ত দিয়ে জল ফিলটার করে খাবার দেরি সইল না, বৃকোদর আমাদের ধর্মাবতারের পানা-পুকুরের পচাজল চকচক করে খেয়ে ফেললেন । যেমন খাওয়া, অমনি কম্পজর সঙ্গে-সঙ্গে মৃত্যু । •তারপর অর্জন এলেন, নকুল সহদেব এলেন, দ্রৌপদী এলেন, সবার সেই দশা, কেউ সমস্যা দিয়ে জল শোধন করে নিতে চাইলেন না । শেষে যুধিষ্ঠির এসে ধর্মাবতার কন্ধের কথামতো চারবার সমস্যা দিয়ে জল শোধন করে তবে বেঁচে গেলেন ; আর সেই শোধন করা শান্তিজল দিয়ে চার ভাই আর দ্রৌপদীকেও বাচিয়ে দিলেন । রিদয় শুধোলে –‘বারি শোধন করার সমস্যা কোথায় পাওয। যায়, তার দাম কত ? কঙ্ক হেসে বললেন –‘সমস্যা কী জলের কুঁজে যে, বাজাবে পাবে ? সমস্কৃততে সমস্তা লেখা হয় মন্তরের মতে, সেইটে পাঠ করে বঁা-হাতের বুড়ো আঙলে এক নাক টিপে নাকের মধ্যে জল টেনে নিতে হয়, আর বলতে হয়, আদি গঙ্গা সাত সমুদ্র তেরো নদী বান্ধিলাম, দশঘড়ায় বান্ধিলাম, জিহবার উপর বান্ধিলাম, সরস্বতী যমুনা বন্ধ, মাতা গঙ্গাভাগীরথী ফুং ফু ফুঃ । মন্তর যদি শিখতে চাও তো কামরূপ কামিখোয় আমার হাড়গিলে-দাদার কাছে যাও । সাপের মন্তর বাঘের মস্তর শেয়ালের মস্তর সব মস্তর তিনি জানেন, আর কোনো ভাবনা থাকবে না নির্ভয়ে যেখানে খুশি বেড়িয়ে বেড়াতে পারবে ? চকা বলে উঠল –‘এ পরামর্শ মন্দ নয়। খেকশেয়ালটা যে রকম সঙ্গে লেগেছে তাতে একটা শেয়ালের মন্তর বিদয়কে না শিখিয়ে নিলে তো আর চলছে না। সেই কৈলাস পর্যন্ত যেতে হবে, এর মধ্যে কত বিপদ-আপদ আছে —চল কিছুদিন কামরূপে থেকে গোটাকতক মস্তর নিয়ে যাওয়া যাক ৷” কঙ্ক বললেন –‘চল, দাদার কাছে আমারো গোটাকতক মন্তর ՀՆ8