পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৩২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্যাঙ, অমনি সব নানা সাজ-সরঞ্জাম দিয়ে বাসাটা ভর্তি । কতকালের সে বাসা তার ঠিক নেই, তার গায়ে ছোটে-বড়ো ঘাসগজিয়ে গেছে, এমন কী গোটাবারো লতাওয়ালা একটা বটগাছ পর্যন্ত, তাতে আবার ফল ধরেছে। চকার সঙ্গে রিদয় এসে দেখলে নাটবাড়ির সবাই এসে আজ বাসায় হাড়গিলেকে ঘিরে কী সব পরামর্শ করছে, এই বুড়ো ভূতুমপেচা একদিকে বসে গোল দুই চোখ বার করে কেবলি হু-হু সায় দিচ্ছে, কালো বেরালটা লেজ নাড়ছে আর মিউমিউ করে কী যে বকছে তার ঠিক নেই, হাড়গিলে মাঝে বসে কেবলি গলার থলি ঝাড়ছেন আর পাচ গও বুড়ো নেংটি ইছর শুকনো মুখে একধারে চুপটি করে বসে এদিক-ওদিক কান ঘোরাচ্ছে। ইতুস বেরাল পেচা হাড়গিলে একখানে জমা হয়েছে দেখেই রিদয় বুঝলে নাটবাড়িতে আজ বিষম গণ্ডগোল । চকা আর রিদয়ের দিকে কেউ আজ চেয়েও দেখলে না, সবাই চেয়ে রয়েছে, ই। করে যেদিক দিয়ে দলে-দলে চুয়ো সার বেঁধে মাঠের উপর দিয়ে আসছে ! ভূতুম পেচা খানিক ভূতের মতো নাকিমুরে চুয়োদের বিষম উৎপাতের কথা বর্ণনা করে চলল। বেরাল মিউমিউ করে খানিক কান্থনি গাইলে –‘এই বুড়ে বয়সে শেষে কি চুয়োর পেটে যেতে হবে নাকি, আণ্ডাবাচ্চ কাউকেই তার রেহাই দেবে না ? হাড়গিলে ই দুরদের ধমকে বললেন – এই দু:সময়ে তোমাদের চাইদের বারোয়ারিতে যেতে দিয়ে যত মুখুমি করেছ, লড়াই দেবার জন্যে একটা লোক পর্যন্ত রইল না কেল্লায় ! আমি কি এই বুড়ো বয়সে চুয়ো মেরে ঠোঁটে গন্ধ করতে পারি, ছি-ছি ! এমন করে কেল্লা ফাক রেখে সব নেংটির চলে যাওয়াটা ভারি অন্যায় হয়েছে।” ইছরগুলো কেবল হতভম্ব হয়ে বেরলের দিকে চাইতে লাগল। বেরাল ফোগলা দণত • খিচিয়ে বললে –‘আমার দিকে দেখছ কী ? তোমরা নিজেদের ঘর সামলাতে না পার নিজেরাই মরবে। আবার Oy &