পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৩২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কী' আমি ষষ্ঠীর জুয়োরে গিয়ে ধল্লা দেব। সেখানে পেসাদের কিছু না পাই হুধ তো আছে।’ ইছরের হাড়গিলের দিকে চাইতে তিনি গম্ভীর হয়ে রললেন – ‘আমি আর কী করতে পারি বল ? এই অঙ্গুষ্ঠ প্রমাণ টিকটিকির মতো মামুষটিকে তোমাদের এনে দিলেম, এর সঙ্গে পরামর্শ করে যা ভালো হয় করে। আমার যথাসাধ্য তো তোমাদের জন্যে করলেম, এখন যা করেন গণেশ ঠাকুর । আঃ, আর পারিনে ? বলে হাড়গিলে পা মোড়া দিয়ে আকাশের দিকে ঠোট তুলে চোখ বুজলেন। ইছর বেরাল পেচা একবার রিদয়ের মুখের দিকে চাইলে তারপর আস্তে-আস্তে সভা ছেড়ে যে যার বাসায় যাবার উদ্যোগ করলে । এদের রকম দেখে চকার এমনি রাগ হচ্ছিল যে সব কটাকে ঠেলে সে চুয়োদের মুখে ফেলে দেয়, বিশেষ করে ওই একঠেঙে হাড়গিলেটাকে এক ধাক্কায় নাটবাড়ির চুড়ো থেকে একেবারে নিচে ফেলে দেবার জন্তে চকা নিসপিস করতে লাগল। রিদয় তাকে চোখ টিপে বললে –‘চুয়োদের জব্দ করা শক্ত নয়, যদি নাটবাড়ির ঠাকুরঘরের লক্ষ্মীপেঁচা আমাকে এখনি একবার ঠাকুরঘরে যে হুয়োরের উপরে কুলুঙ্গীতে গণেশ বসে আছেন তার কাছে নিয়ে যান ? ভূতুম অমনি তাড়াতাড়ি লক্ষ্মীপেঁচাকে ডেকে আনলে। রিদয় লক্ষ্মীপেঁচাকে গণেশের কথা শুধোতে সে বললে –‘ঠাকুর তো এখন শয়ন করেছেন, ঠাকুরঘরের দরজা বন্ধ ? রিদয় চকার সঙ্গে চুপিচুপি দু-একটা কথা বলাবলি করে পেঁচাকে বললে –পুরোনো দরজা খুলে নিতে কতক্ষণ ? চলে, পথ দেখাও ! ' লক্ষ্মীপেঁচ আগে পথ দেখিয়ে চলল, সঙ্গে রিদয়। চকা বললে –এই ভূতচতুর্দশীতে রাত্রে পোড়ো বাড়িতে একা এই অঙ্গুলিপ্রমাণ মানুষটি এসে নাটবাড়িতে মূষিকদের পুনঃপ্রতিষ্ঠা করে হাড়গিলে বংশের মুখসৌভাগ্য বৃদ্ধি করবেন। তুমি \bఆ