পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৩৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাটিতে –বুদি কেবল ধুলে উড়িয়ে মাঠে ছুটোছুটি করতে লাগল। শ্নোড়া হাসও আকাশে কাক দেখে —‘ক্যা-ক্যা’ বলে একবার ডাক দিলে, কিন্তু দেখতে-দেখতে কাকের দল অদৃশু হয়ে গেল । রিদয় চটকা ভেঙে যখন চেয়ে দেখলে, তখন কাকেরা পাতি-জলা পেরিয়ে নাটবাড়ি ছাড়িয়ে কাকচিরের দিকে চলেছে। হাসের পিঠে আরামে উড়ে চলা এক, আর কাকের ঠোটে ঝুলতে-ঝুলতে চলা অন্য একরকম। রিদয় দেখলে জল-জমি যেন একখানা ফাট-ফুটাে গালচের উল্টে পিঠের মতে পায়ের তলায় বিছানে রয়েছে, সবুজ লাল কালা কত রকমের যেন সুয়ো-ওঠা পশমে বোন, বাঙলাদেশের পরিষ্কার ছক-কাটা জমির মতো মোটেই নয়, জলগুলো দেখাচ্ছে যেন মাঝে-মাঝে ছোটো বড়ে আয়না ভাঙা । দেখতে-দেখতে মূর্যি উঠল, আলো পেয়ে মাটি যেন সোনা রুপে। আর নানা রঙের উলে-বোন কাশ্মীরী শালের মতো দেখাতে লাগল। তারপরে জলা পার হয়ে বন-জঙ্গল মাঠ-ঘাটের উপর দিয়ে কাকের রিদয়কে নিয়ে উড়ে চলল ! কাকেরা তাকে ধরে নিয়ে কোথায় চলেছে, কোথা রইল খোড়া হাস, কোথায় বা চকার দল, কোথা বুদি, কোথা বালি ! রিদয় ভয় পেয়ে চারদিক চাইছে এমন সময় ডোমকাক ডাক দিলে –‘খবরদার । আমনি সব কাক রিদয়কে নিয়ে জঙ্গলের তলায় নেমে পড়ল। চোরর্কাটার বনে রিদয়কে ঠেলে ফেলে গোটা পঞ্চাশেক কাক সঙিনের মতো ঠোট উঠিয়ে তার চারদিকে পাহারা দিতে দাড়িয়ে গেল। রিদয় গ। ঝাড়া দিয়ে উঠে বললে –“তোর যে আমাকে বড়ো ধরে আনলি ? ডোমরাজা দৌড়ে এসে বললে –চুপ, কথা কৰি তো চোখ ঠুকরে নেব । রিদয় বুঝলে এবার সহজে ছাড়ান নেই, এরা সব ডাকতে-পাখি ! WO88