পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৩৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গোলযোগ করলে হয়তো মাথাটাই ফাটিয়ে দেবে । সে কী করে, শুকনো মুখে কাকগুলোর দিকে চেয়ে রইল। কাকগুলোও তাকে ঘিরে ধারাল ঠোট বাড়িয়ে একচোখে তাগ করে দাড়িয়ে থাকঙ্গ । 象 দূর থেকে দেখে রিদয় ভাবত কাকগুলো বেশ কালে চিকচিকে, যেন কালে আলপাকার চায়ন-কোট পর নতুন উকিল কেছিলের . মতে, চালাক চতুর চটপটে । কিন্তু কাছ থেকে কাকগুলোকে রিদয় দেখলে কদাকার কালে কুচ ছিত যতদূর হতে হয়, পালকগুলো রুখে৷ মড়মড়ে যেন কালিতে ছুপোনে তালপাত, পাগুলো গেটে-গেটে কাদামাখা খরখরে, ঠোঁটের কোণে এটো ঝোলঝাল মাখানে ; একটা চোখ যেন ছানি পড়া আর একটা যেন ময়লা পয়সার মতে তামাটে কালো ! কোথায় শাদা ধপধপে সুবচনীর হাস আর কোথায় এই কালো কুচছিত কাগের ছা সব ! রিদয় এই কথা ভাবছে এমন সময় মাথার উপরে অনেক দূর থেকে হাসের ডাক এল –‘কোথায়—কোথায় – রিদয় গলা শুনে বুঝলে খোড়া তার সন্ধানে চলেছে, সেই সঙ্গে-সঙ্গে বালি হাসও ডাক, দিয়ে গেল সেঙাত-সেঙাত ! বনের ওধারটায় বুদিও একবার হাক দিলে –‘ওগোঃ ওগো | রিদয় বুঝলে তিনজনেই এসেছে, সে অমনি হাত নেড়ে হেথায় বলে চেঁচাতে যাবে আর ডোমরাজা ছুটে এসে ধমকে বললে –‘কিও ! আয় দিই চোখ দুটো খুবলে ? দিয় অমনি মুখ বুজে গেী হয়ে বসল। হাসের চলে গেল, বুদি গাই ও ডেকে-ডেকে থামল, তখন ডোমকাক হুকুম দিলে— উঠাও। দুটো কাক তাকে আবার ঠোটে ঝুলিয়ে নিয়ে ওড়বার চেষ্টায় আছে দেখে রিদয় বললে –‘বাপু তোমাদের মধ্যে কেউ পালোয়ান কাক থাকে তো আমাকে পিঠে করে নিয়ে চলো, অমন ঝোলাকুলি করলে আমার হাত ‘গায়ের জোড় সব খুলে যাবে যে ? ডোমকাক ধমকে বললে –‘চলো-চলে, অত বাবুগিরিতে কাজ S86.