জিনিসের অফুরন্ত শোভা, এই ক-টা সামান্য জিনিসের অসামান্ত রূপ দেখতে দেখতে দিনদিন খুলেই যাচ্ছে, বেড়েই চলেছে, ডাগর হয়ে উঠছে মহা বিস্ময়ে। . ওই কুঞ্জলতার কুঁড়িটি ফুটতে দেখে যে আনন্দ পাই মুরগির ডিমগুলি যখন ফোটে বাচ্ছাগুলির চোখ যখন তখনো আমি তেমনি আনন্দ পেয়ে গেয়ে উঠি । একটুকু জায়গা, এখানে কী যে সুন্দর নয় তা তে আমি জানি নে ? কুঁকড়োর কথা শুনতে শুনতে সোনালিয়া ক্রমেই অবাক হচ্ছিল । ছোটোখাটে। সব সামান্য জিনিসের উপরে আলো ধরে এমন চমৎকার করে তে কেউ তাকে দেখায় নি। আপনার ছোটাে কোণটিতে চুপচাপ বসে থেকেও যে সবই খুব বড়ো করে দেখা যায় আজ সোনালি সেটি বুঝে অবাক হল। কুঁকড়ে বললেন, সব জিনিসকে যদি তেমন করে দেখতে পার তবে সুখ দুঃখের বোঝা সহজ হবে , অজানা আর কিছু থাকবে না। ছোটো একটি পোকার জন্ম মরণের মধ্যে পৃথিবীর জীবন আর মৃত্যু ধরা রয়েছে দেখে, একটুখানি নীল আকাশ ওরি মধ্যে কত কত পৃথিবী জলছে নিভছে। মুরগি-গিন্নি অমনি পেটরার মধ্যে থেকে গা-ঝাড় দিয়ে উঠে বললে, কুয়োর তলে পানি, আকাশকেই জানি।” পেটরার ডাল। আবার বন্ধ হবার আগেই কুঁকড়ো সোনালিকে মায়ের সঙ্গে পরিচয় করে দিলেন। মুরগি-গিন্নি চোখ,মটকে চুপি চুপি বললেন, বড়ো জবরদস্ত কুঁকড়ে, না ? সোনালি মিহি সুরে বললে, ‘হু, উনি খুব বিদ্বান বুদ্ধিমান। এদিকে কুঁকড়ে জিন্মাকে বলছিলেন, ‘সোনালিয়ার সঙ্গে দুদণ্ড কথা কয়ে আরাম পাওয়া যায়, সব-বিষয়ে সে কেমন একটু উৎসাহ নিতে জানতে চেষ্ট করে দেখেছ ? এমন সময়, কিচমিচ চেঁচামেচি করতে করতে মাঠ থেকে দলে-“ দলে হাস মুরগি বাড়ি বীচ্ছ সবাইকে নিয়ে চিনে-মুরগি উপস্থিত। এসেই সবাই সোনালিয়াকে ঘিরে আহ। কী মুন্দর ক্যাবৎ বাহব।’ २४