পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৩৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেড়ালছান। এদের নিয়ে খেলা করছ —মানুষের কাছে কখনো এগিয়েছ ? আমি একবার ফিরিঙ্গির বাড়িতে গিয়ে তাদের টেবেলের রুপোর কাটা চামচে চুরি করে সাফ বেরিয়ে এসেছি, একটি পালকে পর্যন্ত আঁচড় লাগেনি ? রিদয় থেকে-থেকে বলে উঠল—‘এই বিদ্যের আবার এত বড়াই, এই বেলা ওসব চুরিচামারি ছাড়ে, না হলে মানুষ বিরক্ত হয়ে একদিন । এমন গুলি চালাতে আরম্ভ করবে যে কাকবংশ ধ্বংস করে তবে ছাড়বে ? ‘কী বলিস ?’ বলে সব কাক রিদয়কে তেড়ে এল, মনে হল এখনি তাকে ছিড়ে খাবে। ঢোড়াকাক তাড়াতাড়ি সবাইকে ঠাণ্ড করে বললে –‘ছেলেমানুষ কী বলতে কী বলেছে। থামো হে ওকে মেরো না, রাজা তাহলে ভারি দুঃগি s হবেন । মনে নেই সেই যকের ধনটা বার করা চাই। ছোড়াটা না হলে সে কাজটা করে কে ? তাছাড়া এটা মানুষ, একে মারলে পুলিস হাঙ্গামা হতে পারে। কাকেরা রিদয়কে আর কিছু না বলে ঢোড়াকেই ধমকাতে, লাগল –‘হাঃ মানুষ, ভারি তো উনি বড়োলোক যে ভয় করতে হবে, ঢের-ঢের অমন মানুষ দেখেছি— এই সময় ডোমকাক উপর থেকে হাক দিলে - -‘চালাও ’ এবারে কাকের দল রিদয়কেনিয়ে কাকচিরার পতিত ভ নর দিকে চলেছে —গ্রাম নগর আর দেখা যাচ্ছে না, কেবল ধু ধূ বালি আর কাটাগাছ। মানুষ নেই গরু নেই –কেবল আগুনের মতো রাঙা সূর্যটা পশ্চিম দিকে ডুবছে –সমস্ত আকাশে যেন আগুন ধরিয়ে দিয়ে। ভর সন্ধ্যেবেলা ডোমকাক রিদয়কে ধরে নিয়ে কাকচিরার জঙ্গলে এসে নামল। ডোমকাক দূত হয়ে আগে গিয়ে সবার বাসায় খবর দিলে রাজা এলেন, অমনি সব কাকনী ‘বা-বা-বা তোবা-তোবা’ বলে বাসা ছেড়ে তামাশা দেখতে ছুটল। V)3:S