পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৩৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বলে কাকরা গোলমাল করে তেড়ে এল। ঢোড়া বোকা সেজে কেবলি রিদয়কে আড়াল করে-করে ডানা ঝাপটাতে লাগল, যেন কতই রেগেছে এইভাবে। রিদয় বিপদ গুণে পেটরাটা জোরে টেনে খুলে তার মধ্যে লুকোবার চেষ্টা করতে লাগল। পেটরাটা কিন্তু টাকায় পয়সায় ঠাসা, তার মধ্যে জায়গা নেই দেখে ছ চার মুঠো পয়সা বাইরে ছড়িয়ে ফেললে । এতক্ষণ কাকরা হট্টগোল করছিল যেন কাঙালী বিদেয়ের ভিড় লাগিয়েছে। পয়সা পড়তে সবাই ছো দিয়ে এক-একটা তুলে বাসার দিকে দৌড় –চকচকে পয়সা পেয়ে তার রাজা, রাজহত্য সব কথাই ভুলে গেল। সব কাক য-যার ঘরে গেছে, তখন চোড়াকাক এসে রিদয়কে বললে –‘তুমি-জানো না আমার কী উপকার করছে। এস আমার পিঠে চড়ে ,নি তোমাকে এমন জায়গায় রেখে আসব যেখানে শেয়ালের বাবাও আর ধরতে পারবে না।’ এত ক্রটোপাটির পর রিদয়ের ঘুম পাচ্ছিল, সে কাকের পিঠে চড়ে ঢুলে চুলে পড়তে লাগল ! ঘুমের ঘোরে তার যেন মনে হল । অন্ধকাবে কাকেব চেহারাটা গণেশের ই দুরের মতো হয়ে যাচ্ছে – কাক বগ হাস শেয়াল সব এক সঙ্গে তার মাথার ভিতরে ঘুরছে। এমন সময় আকাশ থেকে যেন বোধ হল চকার দত্তা হাকলে —‘কোথায় ? ‘হেথায়’ বলে যেমন রিদয় চেয়েচে অমনি দেখলে কো করে দরজা খুলে গণেশের মতো মোট পেট নিয়ে তার বাপ ঘরে ঢুকে বললেন –কিছু ভাঙিসনি তো ? রিদয় ভয়ে-ভয়ে একবার কুলুঙ্গিটার দিকে চেয়ে দেখলে যেখানকার গণেশ সেইখানেই রয়েছে —দুবার মাথা চুলকে রিদয় এক দৌড়ে বাড়ির উঠোনে এসে দেখলে খোড়াহঁাস পুকুরপাড়ে একটা বুনো হাসের সঙ্গে ভাব করছে –আর একটা ঝোড়োকাক চালে বসে ‘কা-কা’ করে ডাকছে— গোয়ালঘর থেকে কপলে গাই ይ¢ኃ