পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৩৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভূমিকা আষাঢ়াস্ত বেলায় রোদ পড়ো-পড়ে। বেড়াল-বেী হু কোর, নলের জন্য আমতলায় পাতা খুজে বেড়াচ্ছে, সোনাতন টিকে ধরাচ্ছে, এমন সময় ‘তারৎ বহ্মস্বনাতন দীননাথ দীনবন্দো’ বলে হাক দিতেই সোনাতন খাতাঞ্চি মশার ঘরে ঢুকে বললে –‘কর্তা ডাকছেন ? 'আরে তোরে ডাকব কেন ? হঠাৎ শ্বশুর বাড়ির স্বপন দেখে ডরিয়ে উঠেছি। সোনাতন বললে –‘কর্তা, তবে যে শুনতে পাই, লোকে বলে থাকে—অছারে খেলো ছংছারে ছার শ্বশুর মন্দির । তার নামে কর্তা কেন হয়েছেন অস্থির –এ তো বুঝলাম না।’ ‘তুমি বুঝবে না সোনাতন, তুমি বুঝবে না। আমার শ্বশুরবাড়ি তো নয় –একটা হানাবাড়ি। দুপুলিয়ার সে রাজবাড়িটার কাণ্ডকারখানা শুনতে চাও তো যাও জীবন গোসাই, জগদ্রাম মুনশি, ঢোলারাম চণ্ডকে খবর দাও। আর খুদিরামকে বলে একটু বেশী করে রামপাখির মালসা-ভোগ চড়িয়ে দেন। সবাই মি ে কিঞ্চিৎকিঞ্চিং আহার করে হানাবাড়ির কারখানার আলোচনা করা যাবে।’ ভূ-জোড়া রামপাখির বাচ্চ, একগণ্ডী রাজ-হাসের ডিম, খানকয়েক লেডু বিস্কুটের গুড়ে, কিছু চিড়ে দৈ জিরে-ভাজার সঙ্গে মিলিয়ে ঠিক রাত আটটায় মালসা-ভোগ নামালেন খুদিরাম । খাতাঞ্চি তিন বন্ধুর মাঝে বসে কেবলি ঘড়ি দেখছিলেন, হাই তুলছিলেন আর ঘন ঘন তুড়ি দিচ্ছিলেন। মালসা-ভোগ আসতে চার বন্ধুতে সাবাড় করে হাত মুখ ধুয়ে বৈঠং জমিয়ে বসলেন। মালসা ফেলিয়ে সোনাতন, খুদিরাম আর থামের আড়ালে বেড়াল-বেী হানাবাড়ির কারখানা শুনতে বসে গেল । Wost (t