পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৩৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

फूलबसे উনপঞ্চাশ মহল নিয়ে ছপুলিয়ার সাবেকি আমলের রাজবাড়ি — এখন হয়েছে সেটা হানা-বাড়ি। এই পুলিয়ার রাজবাড়ির দুমুখে ছিল হুটাে পুল। তার এক পুল দিয়ে ঢুকত বিয়ের বরাত, আর এক পুল দিয়ে বার হত মড়ার-খাট —এই ছিল দস্তুর। পাটরানী থেকে ফুলবউ, এর মাঝে অগুনতি বাদী, এক-এক রাজার বিয়েতে যৌতুক করা —উনপঞ্চাশ মহলা বাড়িতে কৌতুকে থাকত ধরা। কোন রানী মলে কে নেবে তার স্থান, এই নিয়ে চলত তাদের মধ্যে আড়াআড়ি। জলটণ্ডি হামাম, কাচমহল, খাসমহল, রানীমহল এ তো ছিলই, তার উপরে কোঠার পর কোঠা, কুঠরির পরে কুঠরি, ঘরের পরে ঘর—সব ঘরের খবর নির্ণয় করতে হারি, এত বড়ো সে দুপুলিয়া রাজবাড়ি । সে সংসারে যে একবার ঢুকল সেই বুঝল যন্ত্রণ নেই বেঁচে থাকার তুল্য। জানের মূল্য নিয়ে তাই কেউ করত না বাড়াবাড়ি। কুল-কিনারা পাওয়া যেত না এত বড়ো ফুল বাগান, রি মধ্যে শ্বেত পাথরের বাধানো ফুলটুঙি ঘর—তিন দিকে তার ফুলের কোয়ারি, একদিকে সান নদী—একবেলা লাগে দিতে পাড়ি । উড়ো ভাষায় শোনা যায় – এই ফুলটুঙির বাগিচায় এল একদিন রানীর সাজে কোন এক ফুলমালির মেয়ে ; দোল-পূর্ণিমায়, এক হাতে রাজার হাত, আর এক হাতে পিচকারি। মধুরাত পূর্ণিমার, ঘড়ি পড়ল একটার –হয়ে গেল মুন সান রাজবাড়ি বাণান। সকালে দেখা গেল ফুলমালির মেয়ে কোথা ভেসে গেছে সান নদী বেয়ে, ফুলটুঙি ঘরে ফুলের বাসর রেখে খালি ! VO¢ፃ