পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৩৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

"খোল খোল আগল কুলুপ কুঞ্জি খোল নিঃসাড়ায়, এই দুই তিন গুনতি । জলছে পিছম মড়ার হাতে আলো পড়ুক ধনের ঘড়াতে তিন তুই এক গুনতি । কাক পেচা থামাক চেঁচামেচি, ঘড়ি থেমে যাক । উলটাক পালটাক চার কড়াকড়ি ঘোঁচি চোর পালাক তো বুদ্ধি বাড়াক । কুবের ভাণ্ডারে বেজী এদিক ওদিক ফিরে বসে থাক তুই তিন এক, এক দুই ফঁাক গুনতি ? মস্তর পড়া মড়ার মুঠার চাপে দুপুর রাতে মড়ার মতো ঘুমিয়ে আছে দুপুলিয়ার লোক। বাঘের ঘরে ঘুমায় বাঘ – ছপুরিয়৷ ডাকাত পুলিয়ায় ঢোকে –বাঘের ঘরে যেমন ঘোগ ! মড়ার হাতে চেরাগ প্রদীপ, পগার পারে করল ঝিকমিক — যেন অtধার কোটার বাহিরে একটা জলছে নিভছে জোনাক পোক। মড়ার হাতের উলটো মস্তরে অবাধে চোর যায় চলে —শব্দ হয় না, পা পিছলায় না, দোর আলগায় না আগড় কুলুপ, অন্ধকারে প্রকাশ পায় সুনসান রাজবাড়িটায় যা আছে যেথায় –চোর জেনে যায় অলিগলির সন্ধান মুলুক । নিঃশব্দে খোলে খিড়কি দরজা –যেন তেল-পালিশে সাফ মিচি-ধরা কল-কবজা। অলি-গলি চোর যায় চলি —মড়ার মুঠায় চুলের সলি—আলো ফেলায় সবজা। পড়ে চার চোরের পাউলটো মন্তরে –তিন দুই এক, দুই এক তিন করে, যায় ধাপে ধাপে সিড়ি চড়ে। কারো দেখা নাই, ঘুমায় অঘোরে শান্ত্রি-সেফাই – সং যেন রেখেছে কেউ মাটিতে গড়ে । শ্বেতপাথরের কাটা, জালি দিয়ে ঘেরা ঘুমায় আসান পাষাণ। সান-নদী পারে ছপুলিয়ার জানান মহলটা— ৩৬২