পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ੋ ਂ লাগল। এমন সময় অন্ধকার হয়ে আসছে দেখে কুঁকড়ো ডাক দিলেন, “চুপ রহ। চুপ রহ।’ তার পর মইটা বেয়ে মটকায় উঠে তিনি চারি দিকটা একবার বেশ করে দেখে নিলেন, হাস মোরগ মুরগি কাচ্ছা বাচ্ছা সবাই আপনার আপনার খোপে যে যার মায়ের কোলে ডানার নিচে সেধিয়েছে কি না । চিনে-মুরগি লোনালির কানে কানে বললে, ‘মনে থাকবে তো ভাই, কুলতলায় ভোর পাঁচটা থেকে ছটার সময় । ময়ুর নিশ্চয় আসবেন, কাছিম বুড়োও আসবেন বোধ হয়, আর সুরকি-দিদি বলেছে কুঁকড়োকেও নিয়ে যাবে। কুঁকড়ে একবার স্বরকির দিকে চেয়ে দেখলেন, মুরকি খোপ থেকে আস্তে আস্তে মুখটি বার করে গিন্নিপন করে বললে, ‘তুমিও যাবে তো । চিনি-দিদির ভারি ইচ্ছে। আমারও ইচ্ছে তুমি পাঁচজনের সঙ্গে একটু মেশে, ছেলেমেয়ের তো বিয়ে দিতে হবে ? কুঁকড়ে সাফ জবাব দিলেন, না । সোনালি মইখানার নিচে থেকে . কুঁকড়োর দিকে মুখ তুলে খুব মিষ্টি করে বললে, যেতেই হবে তোমায়।’ কুঁকড়ে মুখ নিচু করে বললেন, ‘কেন বলে তো। সোনালিয়া বললে, ‘সুরকি-দিদির আবদারে তুমি অমন না’ করলে যে।’ কুঁকড়ে একটু গললেন। আমি তা – তার পর খুব শক্ত হয়ে বললেন, নি, কিছুতেই যাব না। রাত হল, বলে কুঁকড়ে অন্য দিকে চাইলেন। মোনালি একটু বিরক্ত হয়ে কুকুরের বাক্সতে গিয়ে সেঁধলেন । রাত্রির নীল অন্ধকার ক্রমে ঘনিয়ে এসেছে। একে-একে সবাই ঘুমিয়ে পড়েছে। জিন্ম ঘরের দাওয়ায় পা ছড়িয়ে শুয়েছে। চিনিদিদি ঘুমের ঘোরে এক-একবার বকতে লেগেছে, ৫টা থেকে ৬টা। তাল-চড়াইট তার খাচার এককোণে গুটিমুটি হয়ে ঘুম দিচ্ছে । ’ কুঁকড়ো তখনে মটকার উপরে খাড়া দাড়িয়ে পাহারা দিচ্ছেন আর চারিদিক চেয়ে দেখছেন। একটা ঘন্টু বীচ্ছা রাতের বেলায় চুপি ుచి