পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৩৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কিম্বা যুদ্ধ ঘোড়ার জল পী পী কাঠের ঘোড়া তো কোন ছার। গেলেম আলিপুরের চিড়িয়াখানায় —সেখানে উঠপাখিকে বললেম, আমাকে একবার ঘুরিয়ে আনতে পার ? সে বললে—‘রোজ তিন মন করে লোহার পিরেক যদি খাওয়াতে পার তো রাজি আছি। সোনার সঙ্গে সমান দরে বিকোচ্ছে বাজারে লোহা জেনে উটপাখির আশা ছাড়লেম। উট বললে—যদি আলুকাবলি খাওয়াতে পার সাড়ে বত্রিশ সের করে দু-বেলা তো এস, নয়তো য়াও । বলে, ডাঙ্গার জাহাজ সে পৃষ্ঠ প্রদর্শন করল। বন-মানুষটা নিচের ঠোঁট উলটিয়ে আমায় ভেংচে দিল। হাতী গজ-দাত বার করে হেলে স্থলে হাসতে থাকল—নীরব হাসি । 战 জানোয়ারদের খোসামোদ করতে ঘেন্না ধরল ; তখন মনের দুঃখে ঘরে এসে নিজের চৌকিতে একটু জিরোতে বসলেম ছারপোকার ভয়ে পুরোনো আসনখানা পেতে । —এইবার বুঝেছি, দাদামশা ছারপোকার পিঠে চড়ে চললে । –ঠিক বলেছ বাদোশাবাবু, এতক্ষণে ঠিক ধরেছ। বার হলেম ছারপোকার পিঠে, —‘আসুন, বসুন’ লেখা আসন পেতে । —তখন কী হল ? “ এই মনে হচ্ছে ভাসছি জলে, এই বোধ হচ্ছে যাচ্ছি থলে, গ্রাম হতে গ্রামাস্তরে । পরেই মনে হচ্ছে, গরু গাধা ছাগল ভেড়া হাস মুর্গি তাদের সঙ্গে চরছি আবার উড়ছি এক স্তরে –বন হতে বনান্তরে, দিক হতে দিগন্তরে । পথের পন্থি এমনি বোধ করছি যেন, হয়ে গেছি পঞ্জী। মাছ-রাঙা হয়ে মাছ গিলছি –হঠাৎ কাটা বেধেছে। অমনি ‘অবাক’ বলে আসন ফেলে দিয়েছি এক লাফ । —এ রে, দাদামশায়কে ছারপোকা কামড়িয়েছে। —আরে না ভাই না, হাসি না । শোনো না বলি। জেগে দেখি অন্ধকারে ভুবনেশ্বরের মাঠে চকার্চোও লেগে দাড়িয়ে গেছি! চেয়ে দেখছি— 邀