পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৪০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

—‘কেন নৈবিদ্যির কলা ? না, না সেতে পাবে না ; আমি যে খেয়ে ফেলেছি তখন ’ —তবে কী হবে-বাদোশাবাবু ? —ও ঠাকুর নাই হলে, আরো তো অনেক রকম ঠাকুর আছে ? —‘বলে যাও আরো কী ঠাকুর হতে পারা যায় ? —‘কেন গোসাই ঠাকুর তো বেশ ! চেলীর জোড় পরে, জরীর ছাতি মাথায় চামর বাতাস খেতে খেতে নগরকীর্তনে বেরোবে শিঙে ফুকে—আমরা দেখব বারান্দায় দাড়িয়ে ? —‘আরে খড়ম পায়ে দুহাত তুলে নাচতে রাস্তায় পপাত হব দশ পেয়ে, তখন তুমি গিয়ে ভারি দেহটা কী ধরে তুলবে ? —‘হঁ। তুলব।’ —’বা; তুমি মুর্গি খাও, আমি পরম বৈষ্ণব গুরু গোঁসাই—পবিত্র দেহ যাকে তাকে ছুতে দেবনা। পরম ভাগবৎ শিষ্য না জোটালে গোঁসাই ঠাকুর হয়ে লাভ নেই। শুধু দশ পাও আর কাদা মাখ। —‘তা হলে ও চলবে না। আচ্ছা রাধুনী ঠাকুর হলে কেমন ? —‘ছেক্‌ ছেক্‌ ছেক্‌ রাধুনী ঠাকুর আননা ছোক ধোকা কচুর ডাল কি ডালনা বোঝা যাবেন, লঙ্কার ঝালে ভরপুর ভাতে ঝুল, চুল আর কয়লাচুর রোচে যদিবা মুখে বাদোশ বাবুর রুচবে না বেড়াল ছানার রাধুর রোজ ফুটে হাড়ির জরিমান দিতে, মাইনে নিতে গিয়ে দেখব হয়ে গেছি ফতুর ' —‘কেন আমাদের সব আলুমিনামের হাড়ি।’ --‘আরে হাড়ি হলে কী হয়, শুখা বেহারা যে— আনবে সাতকেলে শুকনো মাছ তরকারি তখন যে ওপড়াবে রাধুনি ঠাকুরের পাকাদাড়ি \రిఫి8