পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৪১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তিন —দাদামশায় ডালমুটের গল্প বল। —ও কাগজের ঠোঙায় কী ? —এক পয়সার মুড়ি । —দাঁও দুটাে মুখে পুরি শোন এইবার গল্প জুড়ি— ডাল-হারা-পটির ডালমুটে ! আমডালের মতো মোটা মোটা কালো শক্ত-তার পা। সে সোনামুগের ডাল মোটা মোটা গুণচটের থলিতে ভরে অলিতে গলিতে এ পাড়ায় সে পাড়ায় বিলি করতে করতে যখন একটা থলি বাকি থাকে, আমাদের ফটকের গোড়ায় এসে জিরোতে বসে হপুর বেলায় ঘামতে ঘামতে। সোনা মুগের ডালে ঠাসা চটের থলিটাকে সে একটা লাঠির ঠেকে। দিয়ে বসিয়ে নিজে মাটিতে বসে ৰিমেয় দুই হাঁটুর মধ্যে মুখ গুজে –যেন তেল চিকচিক্‌ কন্ধকাট দৈত্য কালে আবলুস কাঠ কুঁদে কাটা, ভয়ে কাছে যেতে পারিনে—একটুখানি খড়খড়ির ফঁাকে চোখ রেখে তাকে দেখি। ইস্কুলের তখন ছুটি। গরমের দিনের দমকা হাওয়া রাস্তার ধুলোয় কখন শুকন বাদাম পাতা কখনো ছেড়া খাতার টুকরো কাগজের ঘুর্ণ ঘুরিয়ে খেলে—ডালমুটে মুখ তুলেও চায় না—আমি দেখি ! ছিরে মেথরের পোষা ডালকুত্তো মাটি মুঙে মুঙে পায়ে পারে এসে ডালমুটেকে ডাক দেয় –এউ! ডালমুটে জেগে উঠে বলে —হজুর । তারপর নিজের ট্যাক থেকে সেকেলে তামার ঢ়িবলে পয়সা ডালকুত্তোর সামনে ফেলে দেয়। কুতো সেটা মুখে নিয়ে খানিক এদাতে ওর্দাতে স্বপুরীর মতে চিবিয়ে মাটিতে ফেলে লেজ 8 e )