পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৪৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

—তবেই হয়েছে, সে ঠোটকাটা এখন কর্ত্তাগিল্পির মত তোমার নামে ছড়া বেঁধে ফেলেছে। —আমি রাধুকে বলে দিয়েছি বাকাভরে মাটির পুতুল মুর্গিহাটা থেকে পৌছে দেবে তবে পাবে পয়সা । —না হলে থাকো খেংরাপটতে। বেশ বুদ্ধি করেছ দাদাভাই ! —একী আমার বুদ্ধি, বাদোশাবাবুর বুদ্ধি। —তুমি হলে হয়ত বলতে আহ। গরীব দিয়ে দে ক’টা পয়সা । —তাহলে কী হত ? —পয়সা নিয়েই সরে পড়ত মুটে, পুতুলও আসত না মুটেও জমাসত না । —এখন তো এল না কে জানে রাধাকান্ত কী করে বসে আছেন দেখত— - আবার অন্ধকারে যায় মেয়েটা— —না দাছ, বারাণ্ডা থেকে দেখছি, রাধাকান্ত— —কী বলচ ? —ঠোটকাট। বাকী মুটে এয়েচে । —না পাওয়া গেল না । —পুতুল এল না। আঃ জবাব দেয় না ? এল না দাদাভাই । এই যে এগুলো কী ? —রোস ভেঙে যাবে। —এই দাদাভাইয়ের টেবেলে রাখলেই হত —এটা কে নেবে, এটা কে নেবে, এটি বাপু তুলালী নেবে, এটি বাদোশা নেবে, এটি আমি. —হিহি দাদাভাই, দাদু কী করচেন দেখ, এমন হাসি পাচ্ছে আমার । —আচ্ছা দেখা যাক পুতুলগুলোর দাম কত । —রাধাকান্ত এদিকে আন এই টেবিলে, দেখে পড়ে না যায়। দাদাভাইকে ফর্দটা দাও। 8