পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৪৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছেলেবেলায় ঘোষাল-মাষ্টার ছিলেন আমাদের। তার ভূড়ি এত শক্ত ছিল যে মেড়া তেড়ে টুসোলে মেড়ার মাথা কেটে চৌচির হয়ে যেত বোধ হয়। বিষ্ঠেতে ঠাসা ভুড়ি সর্বদা তাতে আমি হাত বোলাতেম-ঠিক যেন একটা হলুদে চামড়ার রাবুণে ফুটবল । —তোমাদের তখন ফুটবল খেলা হত ঐ মাঠে দাদামশায় ? —আরে না ভাই, ও মাঠও ছিল না ফুটবলও ছিল নামাঠের জায়গায় ছিল পুকুর, ফুটবল ওঠেনি তখন ; সেই পুকুরে চিৎ-সাতার দিতেন মাষ্টার, মনে হত যেন একটা সোনাব্যাঙ, প্রকাও গামলা-পেট উচু করে ভেসে বেড়াচ্ছে পুকুরে । রোদ-জল তেলে চিক্‌চিকু সেই ভুড়ি পৃথিবীর অষ্টম আশ্চর্যের মতো ঠেকত আমার কাছে । --তারপর ? - ভারপর একদিন ভাই সেই ভুড়ির জুড়িদার আর এক কালো চিনেমাটির মতে ভোজপুরী ভুড়িদার এসে উপস্থিত – যুদ্ধং দেহি বলে। –কিসের যুদ্ধ ? —শোনন বলি। আগে তো ফুটবল খেলার রেওয়াজ ছিল ন, কার ভুড়িতে কত ধরে, এই নিয়ে লড়ালড়ি চলত টাকা বাজি রেখে । – তারপর ? —যুদ্ধং দেহি বলে তো এল ভোজপুরী, কিন্তু কে যুদ্ধ দেয় তার সঙ্গে ? কুম্ভকর্ণের প্রায় তার খাওয়ার বাড়াবাড়ি দেখে লাগে হৃদকম্প, কে করে আড়াআড়ি ? পেটুক অনেক ছিল চাকর নফর কেহ না – আগাতে চায় তার বরাবর। ঘোষাল বলেন খোসাল হয়ে ভঙ্গ দিব কী কারণ ? מס8 سیاه سst, eg