বঙ্গের রাখিতে মান আমি দিব রণ। ছাতুখোর ভোজপুরীর কিসের বড়াই জানেন ফলারে পুরী কত গগু খাই। বজ্রসম ভূড়ি দেখ বিরাট কঠিন হেসে খেলে তলাতে পারি মন দুই ভিন। নচেৎ লোটা কম্বল নিয়ে যাক বেটা ঘরে । সহি বলে তিন ছাড়া দহি করি পার ভোজপুরী গোফ মুচড়ি হল আগুসার। রামলাল বলে বুঝি টুটে এবার বাংলার অহঙ্কার ঘোষাল বলে পাল্লা দেয় এত শক্তি কার ? —তারপরে ? —তারপর ভাই কুড়ি টাকা বাজি ফেলে লড়াই সুরু হল । দুই মুদি এল, একজন হিন্দুস্থানী, একজন বাঙালী । ছটাে চুলে ধরান হল গাড়ি বারান্দার দুই মুখে। মধ্যে একদিকে যত বাঙালী চাকর বাকর সরকার গোমস্তা, আর একদিকে যত খোট্ট বেহার আর দারোয়ান। মথুর দারোয়ানকে মধ্যস্থ করে বাজি খেলা আরম্ভ হল –কে কত রসগোল্প৷ খেতে পারে, যে প্রথমে এলবে তারই হার । চুলোতে রস আর রসগোল্লা যেমন পাকছে অমনি হুজনের পাকযন্ত্রে চলে যাচ্ছে টপাটপ । রসগোল্লা ওড়ে পর্বত প্রমাণ সমান উভয়ে উভয়ে কেহ না পিছান কস বেয়ে রস গড়ায়, দেখতে বিপরীত কে জানে কেবা হারে কার হয় জিৎ। ছুচটি পড়ে তো শোনা যায় এমন স্তব্ধ হয়ে সবাই দেখছে, কি হয়, কি হয় । যে ওজন ফুকরে চলেছে সে হাকলে –রামলাল তেওয়ারি এক মনের পরে সাড়ে সাত —অমনি তেওয়ারি ‘ৰাপ’ বলে চিৎপাত । ઉ૭૨