পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৪৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কেবলি ফার্সিতে ধমক ঝাড়ছেন -এ্যামুসা কমবক্ত বেতমীজ, হেইসিয়ার, বেহুদা ঘোড়েসে কান কাটায় ! —ওগো ছেলেটা গেল যে চেয়ে দেখ ! —এ্যায়সা লড়কী কী মুখ ন ন চাহিয়ে ! —ওগো নাকের দম হল ছেলেটা ! —জের বেদমুদ্ধ শুঙাও —বলে কলাই-করা তামার বদনাটা" থেকে খানিক জল ছেলেটার গায়ে ছিটিয়ে দিয়ে বেরিয়ে যান । ছেলের মা বলেন,—যাও কোথা ? —পুজো বাড়িতে নবমীর নাস্ত খেতে – বলেই প্রস্থান মুনসী। —ছেলেটার কী হল দাদামশাই ? —ছেলেও তেমনি, খানিক বাদে চেতন পেয়ে উঠে বললে,— মা ক্ষিদে পেয়েছে ! মা তার কানে পটি বেঁধে বললে যাও বাবা পুজোবাড়ি, নবমীতে মায়ের ভোগ খেয়ে এসে গে ; দেখে তোমার বাপ নাস্তা-মাস্তা খেতে দেয় তো খেও না । —নাস্তা কারে বলে দাদামশায় ? —আমিও ঐ কথা মুনসী মশায়কে শুধিয়েছিলেম। —কী বললেন তিনি ? —মনে নেই! — কার মনে নেই – তোমার না সেই মুনসীমশার ? —আমার গো, আমারি মনে নেই। নানখাতাই বলে একটা পার্সি বই থেকে একটা গজল আউড়েছিলেন তা মনে আছে। —তা থেকেই মানেটা বোঝে যাবে- বল তো শুনি ? আচ্ছা শোনো – ‘খাস্তা নাস্ত৷ পেট কি ওয়াস্ত না কুছ মজুদ হুয়ে গোমস্ত নাস্তা-নাবুদ । —বুঝলে কিছু বাদোশাবাবু ? —না, তবে ওটা শুনতে জাকালো ; যেন কত্তাল বাজছে কাছে —'খাস্ত নাস্ত নাস্তা-নাৰুদ্ধ’। 용l: