পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৪৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

—দেখলে বাদোশাবাবু ফারসী পড়ার মজা ! কানে শুনলেই কথার মানে আপনিই বোঝা যায়। বাড়িতে পুজো-টুজো হলে নাস্ত। খেতে হয়, বাজনা-বাষ্ঠির সঙ্গে ধুমধাম করে। —তারপর দাদামশায় ! দ্যালে নিজের ছাওয়া দেখলেই তার সঙ্গে সোরাব রোস্তমের লড়াই বাধাতেন মুনসী সাহানাম আউড়ে। আর ছেলেদের দেখলেই ফার্সি পড়বার ঝোক চাপতো তার ঘাড়ে,—বলে চল আ লে বে তালে-বেতালে বলেই তিনি নিজেও ছড়া,আউড়ে চলতেন, আমাদের চলাতেন মার্চ করিয়ে । —কী ছড়াটা বল না শুনি ? আ লে বে পেতে চল তালে বেতালে পা ফেলে দেখ না উঠে জিন্তে— —আর মনে নেই ভাই। মুনসী একটা ছেলেদের নানখাতাই বই লিখেছিলেন, তাতেই ওটা বাংলা উছু হরপে ছাপা হয়েছিল। —সে বইটাতে আর কী ছিল ? —তোতা আর জোতার গল্প, কবুতর আর বাজের লড়াই, হামাম বাগদের কাহিনী, কাছেম দর্জির কেচ্ছা!—এমনি নানান জিনিস । —সেইখানা আবার ছাপাও না দাদামশায় ! —পেলে তো ছাপাই। বড়ো রসের জিনিস সব ছিল তার মধ্যে। সব চেয়ে ভাল লাগত বখরা-বখরীর কথা । —তারপর ? —বলি শোন— জগু মুনীকে একদিন নিজের ছাওয়ার সঙ্গে সোরাব রোস্তমের লড়াই দিতে দেখে আমি বললেম –জী আপনি ঘোড়ায় চড়ে লড়েন না কেন ? সোরাব রোস্তম তো ঘোড়ার সওয়ার হয়ে লড়েছিল। মুনলী কিছুক্ষণ আমার মুখের দিকে চেয়ে বললেন-তুম সচ বাত বোল। 89ట్ర