পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৪৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

—অব শুনে ইসকা হদিস।—বলেই তিনি দাওয়ায় বসে মুরু করলেন, —দেখ, তোমার দাদামশায় আমাকে ঠিক এই কথাই বলেছিলেন একদিন । আমি তাতে জবাব করলেম—দেখেন, রোস্তমের উপযুক্ত ঘোড়া যদি পাই তো দেখাই লড়াই। তখনি এক হাতিয়ার জামা জোড়া এক ইষ্টরব্রেড ঘোড়া বখশিশ। কথা রইল কাল উঠোনে সোরাব রোস্তমের লড়াই দিতে হবে ? আমি কী করি-মনে মনে বললেম-মুন্সী অব তো তেরা মৌত নজদীগ, ইস আফতসে নিকলনেক কৌন রাস্তা ! মুখে ই হুজুর বলে ঘোড়া জামা জোড়া হাতিয়ার বগের নিয়ে তো বাসার মুখে চলি । গিরি ঘোড়া আর সাজ-সরঞ্জাম দেখে ডরিয়ে গেল –কি গো এ সব কী । লড়ায়ে যাবে নাকি ? আমি কিছু না ভেঙে হাই করে হুটো ভাত মুখে গুজে, গেলেম খেতু খোট্টার ওখানে। তার পর দিনই বার হবে পরেশনাথ, আমি ঘোড়া নিয়ে হাজির দেখে বললেম-আরে মুনসীজী আইয়ে রাম রাম।—আর রাম রাম ভাই, একটু গোপন কথা আছে—আড়ালে চল। ঘোড়াটা একজনের হাতে জিম্মে করে দিয়ে আড়ালে গিয়ে । বললেম নিজের আসন্ন বিপদের কথা । তারপর আধাদরে ঘোড়া জামাজোড়া সব পরেশনাথের কৃপায় বেচে ঘরে এসে খালাস –ইস্ত্রী বলে, ঘোড়া গেল কোথায় ? তোমার সে খবরে কাজ কি ? –বলে সে রাত্রি আরামে কাটালেম । তার পর দিন দেখি উঠানে আমাদের লোকারণ্য। আমি আসতেই ঘোড়া কোথায় ঘোড়া কোথায় রব উঠল। খেতু খোট্টাও দেখি তোমার দাদামশার কাছে বসে । — দেখতে হি তো মেরা দিল সিফাইকে ঘোড়া যে সে তড়পনে লাগ । তোমার দাদামশার গম্ভীর মুখ দেখেই বুঝলেম বিদ্যে ফাস হয়ে গেছে । তখন কী করি ফার্সি ছেড়ে বাংলা ধরলেম – মশায় ঘোড়া নিয়ে তো গেলেম বাসায়। ইস্ত্রী বলে ঘোড়া কী হবে গো ?-আমি চাপব, তোকে ছেলেকোলে চাপাব ঘরকল্পার জিনিসপত্র পোটলা বেঁধে না পিঠের পরে চাপিয়ে সশরীরে ভেঙে যাব।-ওমা আমি তা পারব না।-কেন মা স্থগগা ঘোড়ায় চাপতে পারে তুই নাম 89ፃ