পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কতকালের পুরোনো মিশ্বকালে পাকুড়তলায় ফুটফুটে জাধারে কেন । এসেছি জান ? খুন খুন খুন করতে, এ আমি চেচিয়েই বলব। কিসুের ভয় । কাকে ভয় । তার পর একেবারে নবমে গলা চড়িয়ে চিলে বললে, ভয় করব না, চেচিয়েই বলি, কুঁকড়োটা চে-ও-ও-র', বলেই বুড়ে চিলের গলা ভেঙে গেল, সে খক খক করে কাশতে লাগল, আর অন্য সব পেচা চেঁচাতে থাকল, ‘চোর। ডাকাত । সি দেল । বদমাশ । আমাদের সর্বস্ব নিলে।” চড়াই অমনি বলে উঠল, কী নিলে শুনি।’ ‘আমাদের আনন্দ, আমাদের তেজ সবই হরণ করছে জান না ? বলে পেচাগুলো চড়াইয়ের দিকে কটমট করে চাইতে লাগল। চড়াই একটু দূরে সরে একটা বঁাশঝাড়ে বসে শুধলে, “তোমুদেব তেজ কেমন করে হরণ করলে সে ।” ‘কেন, গান গেয়ে । তাব সুর শুনলেই আমাদের ছঃখু আসে, বেদনা বোধ হয় ; সব পেচারই মন খারাপ হয়ে যায়, কেননা তার সাড়া পেলেই মনে পড়ে ? আলো আসছে।’ বলেই চড়াই সট করে বঁাশঝাড়ে লুকল। হুতুম রেগে চড়াইকে বললে, চুপ । খবরদার, ও জিনিসের নাম আর কোরো না, ও নাম শুনলেই রাত্রির মন চঞ্চল হয়ে যেন পালাই পালাই করতে থাকে।’ চড়াই বেরিয়ে এসে বললে, অীচ্ছ না-হয় দিন আসছে বলা যাক ৷” অমনি সব পেচা শিউরে উঠে চারি দিকে ‘উ তা’ করতে লাগল আর কানে ডান ঢেকে বিকট মুখ করে বলতে লাগল, থামো, থামো, চুপ, চুপ।’ চড়াই আবার লুকিয়ে পড়ল, পেচাদের বিকট চেহারা দেখে তার একটু ভয় হল। হুতুম খানিক ভেবে বললে, বিলো-ন বাপু, যা আসবার তা আসছে। চড়াই বললে, যাক ও কথা, যা আসবার তা তো আসবেই, কেউ তো ঠেকাতে পারবে না।” হুতুম বললে, তা তো জানি, কিন্তু আসবার আগে তার নাম ●ጫ