পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৪৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছো হিগা হিগ হিগা। এমন সময় বাবুর পোষা কুকুরট ফ্যাচ ফ্যাচ ফ্যাচ করে তিনবার কেশেই আংটি উগরে দিলে। ‘আরে এ ক্য হ্যায় বলে দরোয়ানজী সেটা তুলতে যেতেই অনাটন টপ করে সেটা ছো দিয়ে তুলে নিয়ে বললে –‘বটে এর জন্য হাজার হাজার আশরফি বকশিশ আছে। তুমি ভালুকে গেরেফতার কর আমি এটা দিয়ে আসি পৌঁছে। ভালু, সে বাবুর কুকুর —গ্রেপ্তার করে কে ? সে অনাটনের সঙ্গে দৌড়োল উপরে। তার পরেই সাক্ষী তলব । আমরা সবাই কুকুরের হয়েই সাক্ষী দিলেম । দরোয়ানজী কৈবল—‘ক্য জানে হুজুর কাহাসে অনাটনে আঙ্গুস্তার নিকলা’—ভাবটা যে ওই নিয়েছিল । যাই হোক ভালুকে পেট ভরে খেতে দেয় না বলে অনাটন আশরফির সঙ্গে ধমকও খেলে, আর ভালুর জন্যে এক বাটি করে ঘন ক্ষীয় বরাদ হয়ে গেল। হুকুম হল, খানসামাকে নিজের হাতে জ্বাল দিয়ে ক্ষীর তৈরি করতে হবে রোজ দেড় পোয়া করে ; কুকুর মরে গেলেও। একেবারে লবাবি শাস্তি । ফেরবার সময় দেখি ইট ভেঙে চুন খসে টালি খুলে খানাতল্লাশির চোটে অতবড়ো বাড়িটা যেন ফোগল হয়ে গেছে। একটু তামাক পর্যন্ত খেতে পেলুম না। রাস্তায় পড়ে দেখি লারাণের দোকান। সে এক কাপ চায়ের সঙ্গে একটা চুরুট ফাও দিলে। সেইটে ফুকতে ফুকতে এসে দেখি তোরা —এখন বিশ্বাস করিস কী না করিস। বলেই সে পাশ ফিরে ঘুম দিলে । আমি পকেট থেকে এক ঠোঙা অবাকজলপান বার করে চিতপাত হয়ে চিবতে থাকলুম। ছিরিকণ্ঠ একবার শুধোলে, অবাকজলপান পেলি কোথেকে ? আমি হাতে আমার সাঁসের আংটিটা দেখিয়ে ঘাড় চুলকে বললেম, এইটে ঘষতেই এসে গেল। তারপর দুজনের নাসিক। গর্জন আর আমার দাত কড়মড় । 8br☾