পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৪৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সেদিনের খাতাঞ্চিমশায় বিষ হারিয়ে চোড়া বনে আছেন দেখে ভাল লাগল না; বললেম—‘খুব করে ধমক লাগান, ফৰ্দটা তবে বার হবে।’ —‘না হে, বোঝ না, আজকাল দিনকাল বড়ো খারাপ পড়েছে। সে আমল গেছে । জাকজমক ধমক-খামক করতেই ইচ্ছে হয় না । থাকত সোনাতন "তো—হঁ্য। ’ বলেই খাতাঞ্চিমশাই হাক দিলেন —‘অনাটন, অনাটন ? নতুন কলকিতে ফু দিতে দিতে লাল গামছা কাধে অনাটন হাজির ৷ খাতাঞ্চি বঁ হাত বাড়াতেই অনাটন গাট থেকে ফর্দটা বার করে তার মুঠোয় গুজে দিয়ে গুল ওসকাতে থাকল। হুকোর নল ভেবে ফর্দটা মুখে দিতে যান দেখে অনাটন জোরে কলকিতে ফু দিতে শুরু করলে । আমি বলে উঠলেম —‘ওটা সেই ফর্দটা ? —“তাই, তো ’ বলে ফর্দটা বাক্সে তুলতে যান দেখে আমি বললেম —“দেখি না ? খাতাঞ্চিমশায় বললেন—‘অনাটনের হস্তাক্ষর পড়েন আর পড়ে বোঝেন –তিনি এখনো, কী বলে ভাল —দেখ চেষ্টা করে ’ বলেই খাতাঞ্চিমশায় ফর্দটা আমায় দিলেন। ফর্দটা আগাগোড়া হিজিবিজি, যেন ফার্সিতে লেখা। কেবল কলমের খোচ, যেন মুরগির একরাশ ছেড়া পালক উড়ছে –তলাতে নাম সই—দামোদর ওরফে অনাটন। আমি দেখে বললেম – দামোদরের নাম অনাটন থলেন কেন? সনাতনের সঙ্গে ছন্দ মেলাতে নাকি ? —‘ফৰ্দ দেখে বুঝলে না, ভূস্বামী-বিদ্যের কতখানি অনটন ? —“কিন্তু ওর টেরি থেকে রেলির ধুতির চুলপাড়টি পর্যন্ত কোথাও তো কিছু অনটন দেখছি নে ? খাতাঞ্চিমশায় দীর্ঘনিশ্বাস ফেলে বললেন –সেই কারণেই তো কাশী পালাবার মতলব করেছি। মেরে ধরে ধমকে জুবাব দিয়ে ফল হয় না। দেখি এ উপায়ে যদি ঝে ট্ট ফেলতে পারি অনাটনকে। astol & ot—” 8b”ፃ