পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৫০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কোলাব্যাঙের মতো সামনে এসে বসল, আর কথা কয় না । নিঃসাড়া অন্ধকারে যেন ওৎ পেতেছে আমাকে শিকার করবে বলে এমনি মনে হল। মনের ভিতরটা পর্যন্ত যেন বোবা করে দিয়েছে সে। বুকটা ধড়ফড় করতে থাকল, যেন বায়া-তবলা বেজে চলেছে – ধর ধর মার মার & ঘাড় ভাঙ, যার-তার। একশোর ছটাে শূন্যের মতো গোবিন্দর ছটাে চক্ষুকোটর থেকে বোল আর আখর একাদশ অক্ষৌহিণীর মতো ছুটে বার হল— চটপটি উলটি পালটি ঝটাপটি মাথা ফাটাফাটি আর | আমার তখন কথা সরছে না —এগোই কী পিছোই এই ভাব । ‘গোবিন্দাই বলে একেবারে দণ্ডবং মুখ থুবড়ে। দূর থেকে একটা আওয়াজ এল—‘সুতরবান-ই-ই। আমি শুনলেম কে যেন ডাকলে – ‘অবন-ই। গলাটা যেন খাতাঞ্চিমশায়ের মতো গম্ভীর সুরিলা । মাথা তুলে এদিক-ওদিক চেয়ে দেখি একটা যেন সাদা বালিশের চিবি থেকে এক মূর্তি নেমে এলেন। পরনে হায়কল জোববা, হাতে ডাণ্ডা মাথায় টোপ । পায়ে চটি চামড়া বান্ধা, সাদা কালো দাড়ি গোফ ! দেখেই আমি আদাব বাজিয়ে নাকে খং। নাকটা ছড়ে মুনছাল উঠে ফুল উঠল গোল মুলোবৎ । শুধোলেম –‘হুজুরকা উসমে সরিফ ! ভারি গলায় উত্তর হল—‘মুসফিতর মুসাফির।’ উন্থবিদ্যে আমার হালে পানি পেলে না। মুরে বুঝলুম আরবিতে একটা আশীৰ্বাদ হয়ে গেল। আমি একেবারে দস্তাবস্ত সটান কদম বোসি বাজাতে উপুড় হয়ে পড়লেম। মুখ তুলতে, আর সাহস হয় ন – আশীৰ্বাদ চলেছে শুনি— খুরমাদারে খুদ্রবখারি ইদগধ৷ মস্তেজারে হামনদোক্তি বিশখত । 8ఏ e