পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৫০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেখা গেল পিলে-গোবিন্দকে —তুই হাতে ছুই কান ঢেকে উবু হয়ে বসে। সামনে খাড়া বিস্ময়ের চিহ্ন অনাটন। —“কি রে তোর আবার কী হল ? উত্তর নেই। অনাটন বললে –‘ওর কান খারাপ হয়ে গেছে, শুনতে পাচ্ছে না।’ —‘সেকি, এই তো বেশ শুনছিল।’ গোবিন্দ আমার মুখের দিকে চেয়ে কুঁতিয়ে বললে –‘মোহনবাবুকে বলুন একটু বাউকমি ওষুধ ? 熊 —‘কোথায় মোহনবাবু, কোথায় ওষুধ বাউকমি ? ঠিক এই সময়ে খিমার মধ্যে একটা সিংহগর্জন । তুহাত পিছিয়ে পড়ে বললুম —‘কী ও ? অনাটন বললে –‘খাতাঞ্চিমশায় ঘুমচ্ছেন। —‘উনি এলেন কখন ? —“কিছুক্ষণ হল। এসেই গোবিন্দের কান মুচড়ে দিয়েছেন।” গোবিন্দ অফুটস্বরে –ওষুধ’ –বলেই ভুয়ে শুয়ে পড়ল। এমন সময় খিমার মধ্য থেকে ভারি গলায় উত্তর এল –‘ওষুধ কী হবে। একবার তো হয়েছে ? গোবিন্দ আর কথা কইলে না, ইশারায় জানাল—‘কানে একটু বাউকমি ।’ ওষুধ কোথায় পাই ? অনাটনকে বললেম –‘চায়ের চিনি আছে ? সে জবাবে মান্দ্রাজীতে নয়, সাদা বাংলাতে ঘাড় নেড়ে জানালে – হঁ্যা, আছে । –তাই একটু, আর পানে দেবার চুনের গুড়ে দাও একটু খাইয়ে। রাতটা তো কাটুক, সকালে চিকিৎসার চেষ্টা দেখা যাবে।’ , খিমার মধ্যে তিনটে কম্বলের বিছান। —তার একটাতে চাদরমুড়ি একটা ঘড়-ঘড় শব্দ। খালি ছুটে বিছানায় অবিন আর আমি শুয়ে পড়লেম । অৰিন একবার বললে –‘গোবিন্দটার উপায় ? 8為8