পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৫০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমি বললেম –‘ওকে আপনি যে-প্রকার বন্ধ-সন্ধের মধ্যে রাখেন, বাতাস রোদ আলো পায় না, কাজেই তড়কা-রোগে ধরেছে। বড়ো হয়ে ওর দাত পড়ল, তবু ওকে তুলে মুড়ে রাখা কেন ? আমি শুনেছি কাল রাতেও ওর দুবার ফিট হবার যোগাড় হয়েছিল।’ —নাকি ?’ বলেই রায় মশায় তড়কাকে বাক্সে বন্ধ করে বললেন –‘ওর বন্ধ থাকাই অভ্যেস হয়ে গেছে। এই মেঠে৷ . হাওয়ায় বার করে রাখলে সর্দি, কাশি, হাপানি, নিউমোনিয়া এমনকি হার্ট-ফেলও হতে পারে। এ মরুভুয়ে কী ডাক্তার বদ্যি আছে যে ওকে সারিয়ে নেব ? ডাক্তার বদ্যির কথায় গোবিন্দর কানের কথা মনে পড়ে গেল । বাইরে গিয়ে দেখি, চিনিকেমির গুণে সে চাঙা হয়ে গেছে —মুখে একগাল হাসি । শুধোলেম –‘কানে বেদন আছে ? —‘একটু একটু ’ —ঠাণ্ড লাগিও না ’ বলে অবিন তার কান-ঢাকা টুপিট। গোবিন্দকে দিয়ে ফেললে । আমি একট। সিকি দিয়ে বললেম –‘আজ গরম গরম ফুলুরি. ट्रांद्र-' —ফুলই নেই এখানে, বলেন ফুলুরি। বলে সিকিট সে ট্যাকে গুজলে । 象 এই সময় খাতাঞ্চিমশায় –ইস্চামই, তোমারই কি পা –বলে থিমার বাইরে এলেন । —‘বখশিশ হয়ে গেছে বুঝি ? গোবিন্দ দে-চম্পট । —‘কী বলছিল হে পাজিট ? ফুল নেই, ফুলুরি নেই ? ও জানে না হাত নিশপিশ করলে কান মলার জন্যেই ওকে রাখা-ফুলুরির খোজে আছেন । ওকে অধিক আদর দিও না, বিগড়ে যাবে। একটু শরীর চাঙা বোধ হচ্ছে, বেড়িয়ে আসি চল । এসে চা খাওয়া যাবে। "س چylstRة - 8:ፃ আ. ৩য়—৩২