পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৫২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হঠাৎ চোখে ঠেকল সাদা একটি দান –টপ করে সেটি তুলে অমনি ট্যাকে গোজ । —‘পেলে কিছু হে বিশ্বেল ? খুদিরাম বিচুটি-বন থেকে একটা বাওয়া ডিম টেনে বার করলে । খাতাঞ্চিমশায় বললেন –‘খুদিরাম, দেখলে হে, বিপ্তের ফল •হাতে-হাতে পেলে |’ —“আপনার নেজনজর আছে বলেই এটা পেলেম –কিন্তু শেষ কথাটি কী বলে গেল মোরগটা তাই ভাবছি।” —‘ভাব দেখি খুদিরাম ? —“আমার সহজ বুদ্ধিতে তো বোধ হয়, কঁকর কে বলে মোরগটা বললে —দানটা কিছু নয়, কাকর ছো: ’ খাতাঞ্চিমশায় চমকে —তা তো হতে পারে, কথাটা উন্থও নয়, বাংলাও নয়, সমস্কৃত কঙ্করের অপভ্রংশ মতো শোনাচ্ছে। --বলে গোল পদার্থটা ট্যাক থেকে বার করে খুদিরামকে বললেন —‘এটা কি কাকর ? গোল যেন গজমোতির মতো বোধ হচ্ছে না ? , খুদিরাম পদার্থটা উলটেপালটে দেখে বললে –‘কাকর হলে তো করকর করত ।” —‘মা জগদম্বা, তোমার ছিষ্টিতে কত দ্রব্যই আছে ’ বলে খাতাঞ্চিমশায় পদার্থটা ট্যাকে গুজতে যান –খুদিরাম বললে— ‘একবার মুচি মিঞাকে দেখালে হয় না ? —‘দেখাও ’ বলে খাতাঞ্চিমশায় পদার্থটা সাবধানে মুঠোছাড়া করলেন । মুচির হাতে সেটা পড়তেই সে বললে—‘গবস্তির কাচা ফল— প্রায় পাকে না, তেলে পাকে শুনেছি। ভারি দামি চিজ ।” —ম জগদম্বার কৃপা বলেই খাতাঞ্চিমশায় ফলটিকে নিয়ে চোচা মুদিখান-মুখো। খুদিরাম বিচুটির জ্বালা সইতে সইতে পাছেপাছে মুদিখানায় এসে দেখে, খাতাঞ্চিমশায় মুদির হিসেব চুকোচ্চেন। সামনে একশিশি তেল —তাতে গবপ্তি ফলটি ডুবে আছে। & $8