পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৫৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হুেতি হোতি পেট ভরে কাদা চিংড়ি খেয়ে গলা ছাড়লে রাখালী স্বরে জলের ধারে বসে— জন্মালাম যদি হলাম না কেন গরু আমরা দুটি ভাই হেতি হোতি চব-চব ঘাস খেতাম চকু ঢকু জল খেতাম চরতি-চরতি । মুখে রইতাম ঘাসে জলে ভর্তি ! তা না ঝকমারির বেগার ধরতি— হলাম রাখাল, পেটটি বড়ো, বুদ্ধি মোট অতি, হাত পা সরু সরু, ও ভাই গরু, আমরা হেতি হোতি ? জগৎ গোসাইয়ের ছোটো ভাই জীবন গোসাই কুন্তুক করে বসে ছিলেন জলের মধ্যে। হেতি হোতির বিকট গলার গান শুনে জল ছেড়ে উঠে এলেন –ঠিক যেন বিরাট-কলেবর ডিমওয়ালা এক তপসি মাছ! সবাঙ্গ ৩েলে জলে পিছল। লালচে কটা রঙের একঝুড়ি দাড়ি গোফ ৷ থেকে থেকে তিনি খাবি খান আর নাচেন গান— ‘জীব-মীনের এবার জীবন গেল বুঝি কাল বুঝে কাল ধীবর অ্যালো! জীবনের জীবন নিতে টানা জাল, কুঁড়ো জাল আব বেড়; জালে— বুঝি প্রাণ রাঘব-বোয়ালে ঘেরে ন্তেলো! গভীর জলের তপসি মাছ খেয়ে বড়শি খ্যাচ, জল ছেড়ে জমির পরে পটুকান খোলো । আশা টোপ গিলে বাতাসে, তিনট ডিগবাজি দ্যালো । আর তিনটা খাবি খোলো ”— হঠাৎ হেতি হোতিকে জলের ধারে বসে "কতে দেখে ধীবর মনে করে জীবন গোসাই আড়াই পাক ঘুরে ডিগবাজি খেয়ে কোমর জলে ઉરલ