পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৫৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লাফিয়ে পড়ে ছেতি হোতির দিকে চেয়ে আবার গীত গাইতে শুরু করলেন— ‘কত কুরিং জানোরে কর্তা কত কুরিং জানো গভীর জলে ফেইল্য জাল ডাঙায় বৈসে ট্রানো। তোমার ছিপের আগায় বড়শি, সুতায় বাধা ফন্তু মাছের হাটটা কোথায় জানো—জীব-জগৎ কর্তা ' গানের শেষে বললেন—‘চতুরানন প্রজাপতিকে শত-শত প্রণিপাত। কে বাবা তোমরা দুটি, কোন কাজে জলের ধারে কাটাতে বসলে রাত ? —“আজ্ঞে আমরা হেতি হোতি, ভবের হাটে ঘোল খেতে চলেছি সম্প্রতি।’ জীবন গোসাই বললেন –‘বেশ, নজর রেখে দেহের পুষ্টির প্রতি। জীব-জীবন রক্ষার তরেই জন্ম যখন, তখন নাও এই ঘোল খাবার খুদে ঘটিটি। বুঝেছি তোমরা ভবের হাটে যেতেছ, কিন্তু সে তো সহজে হচ্ছে না। এর জন্ত জগমুনশির ছাড় পত্র চাই ছুখানি।’ হেতি হোতি বললে—তিনি কোনদিকে থাকেন ? —‘জগমোহনের কাছারিতে গেলেই তাকে পাবে। এই জলের ধার দিয়ে চলে যাও সিধে।’ বলে,জীবন গোসাই মাছের আঁশে লেখা একটুকরো চিঠি মুনশির নামে হেতি হোতিকে দিয়ে ঝম্পটি বপাং করে জলের মধ্যে হলেন অদৃশু । তিন পহুর রাতে জগমুনশির কাছারির খোজে চলল হেতি হোতি খোড়া গরুটি তাড়িয়ে। আকাশে দেখা যাচ্ছে— আঁধার পরে চাদের কলা, কতক কালো কতক খল৷ উত্তরে উচ-দক্ষিণে কাত মেঘ ছু-খানা বিরাট ; তারা কোন দেশ হতে আসছে কোন দেশে বা যাচ্ছে কিছুই যায় না বলা । ૯૨૭,