পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৫৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাচজনে, হয়ে গেল বিয়ে । ছেলের মা একচোখে হাসে, একচোখে র্কাদে আর বলে, বউ তুমি রইলে, পাড়ার পাঁচজন তোমরা রইলে, আমি চললুম টুকরি হাতে পাড়া ছেড়ে। আমার ঘরও রইল ফুয়ারও রইল আমি চললেম খালি হয়ে বরানগর কাশীপুর - হাওড়া শালকে বালি । বুড়ি ভেখ নিয়ে বেরোতে চায়, কচি বউ কাদে উ-উ, মনে পড়ে যায় কোলের ছেলের কান্না, যাওয়া হয় না ভেক নিয়ে বেরিয়ে । ‘বলি ও ছেলের মা, বসে আছ যে, যাচ্ছ কবে শুনি ? ‘আর যাওয়া ! যে বউ করে দিয়েছ, তোমরা দুয়ারে চৌকাট পাড়াতে গেলেই কান্না ধরে।’ ‘আহা কাছক গো কাকুক, কাদবে না। বল কি! কচি মেয়ে পরের ঘর করতে এসেছে – তাই তো ভাবি গো, পড়শিরা, কোন চুলোয় যাব আর বসে থাকি ঘরে বউ আগলে । ‘তোমার বেটা কী করছেন আজকাল ” সে গেছে ঐ জঙ্গলে কপূর গাছ কেটে আনতে। ‘কেন গো, কপূর কাঠের খোটা দিয়ে ঘর তুলবে, না তক্ত। চেলে সিন্দুক গড়বে। ‘কী জানি ভাই, শুধোলে বলে কপূর কাঠে একটা কিস্তি বানাবে। তুফান যেদিন আসবে, সেদিন জরু গরু সবাইকে নিয়ে ভেসে পড়বে, গ্রামখানা ডোবার আগে।’ ‘তুফান রোগ এখনো ছাড়েনি তাহলে ! বল তোমার ছেলেকে ডাঙায় কিস্তি চালাবার মতলব ছাড়ক। এখন থেকে ঐ পাহাড়ের ●Qや